উখিয়া নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯/০৯/২০২২ ৩:৪৬ পিএম
ফাইল ছবি

দেশের দূর-দূরান্ত থেকে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে আসা ভ্রমণপিপাসুরা মেতে উঠেছেন বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে। শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় সৈকতের সব কটি পয়েন্টে পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড়।

শুক্রবার মানেই সৈকতে উৎসবের আমেজ। সাগরের নোনাজলে হই-হুল্লোড় আর আনন্দ। হাজার হাজার ভ্রমণপিপাসুর পদচারণায় মুখরিত সাগরতীর।

শুক্রবার সকালে সরজমিন দেখা যায়, সাপ্তাহিক ছুটির দিনে দলে দলে সৈকতের বালিয়াড়ি পেরিয়ে পর্যটকরা নামছেন নোনাজলে। কেউ এসেছেন পরিবার-পরিজন নিয়ে, কেউবা প্রিয়জনকে সঙ্গে নিয়ে। সব বয়সের মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে সাগরতীর। আর সবাই মেতেছেন মনের আনন্দে।

মিরপুর থেকে আসা পর্যটক শাহরিয়ার আহমেদ বলেন, ‘ইট-পাথরের শহর আর ভালো লাগছিল না। তাই সাপ্তাহিক ছুটির দিনে সাগরের টানে কক্সবাজার ছুটে এলাম। এখন নোনাজলে বেশ শান্তি পাচ্ছি।’

আরেক পর্যটক ইব্রাহিম কাদের বলেন, ‘পাহাড়, সাগর ও প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগের একমাত্র স্থান হচ্ছে কক্সবাজার। তাই কক্সবাজার না এসে কোথায় যাব? এখন ছুটি পেয়েছি, তাই পাহাড়, সাগর ও প্রকৃতির টানে কক্সবাজার চলে আসা।’

রিদুয়ানুল করিম নামে এক পর্যটক বলেন, ‘ইনানী, হিমছড়ি ও মেরিন ড্রাইভ ঘুরেছি পরিবার নিয়ে। সকাল থেকে সাগরে গোসল করতে নেমেছি। সাগরের বিশাল বিশাল ঢেউ দেখে বেশ ভালো লাগছে। মনটা আনন্দে ভরে গেল।’

সমুদ্রসৈকত উপভোগের পাশাপাশি পর্যটকরা চড়ছেন ওয়াটার বাইক, বিচ বাইক ও ঘোড়ার পিঠে। আর প্রিয় মুহূর্তগুলো ক্যামেরার ফ্রেমে বন্দি করতে ব্যস্ত ফটোগ্রাফাররা। পর্যটকের আগমনে দারুণ খুশি সৈকতপাড়ের ব্যবসায়ীরা।

সৈকতের ওয়াটার বাইক চালক রহিম বলেন, ‘প্রতিদিনই পর্যটকের আগমন হয় কক্সবাজার সৈকতে। তবে বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার পর্যটকের আগমন থাকে বেশি। তাই এসব দিনে আমাদের আয়ও বাড়ে। শুধু আমরা নই, সৈকতের ফটোগ্রাফার, বিচ বাইক চালক ও হকার বেশ ভালো ব্যবসা করছে।’

ঘোড়াওয়ালা ইলিয়াছ বলেন, ‘করোনাকালীন আমরা নিজেরাই সংসার চালাতে কষ্টে পড়েছিলাম। তখন ঘোড়াকেও খাবার দিতে পারেনি। কিন্তু আল্লাহর অশেষ রহমত, এখন কক্সবাজার সৈকতে সবসময় পর্যটক থাকে। তাই আমাদের ব্যবসাও ভালো হচ্ছে, সংসারও ভালো চলছে।’

বৈরী আবহাওয়ায় সাগর কিছুটা উত্তাল, তাই পর্যটকদের সমুদ্রস্নানে নিরাপত্তায় সতর্ক করার পাশাপাশি নিয়মিত টহল জোরদার করেছেন লাইফ গার্ড কর্মীরা।

সি সেইফ লাইফ গার্ড সংস্থার সিনিয়র লাইফ গার্ড মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘বৈরী আবহাওয়ার কারণে সাগর উত্তাল। কিন্তু সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় পর্যটকরা উত্তাল সাগর বা লাইফ গার্ডদের সতর্ক বার্তাও মানছেন না। তারপরও পর্যটকদের সতর্ক করছি এবং বালিয়াড়িতে টহলের পাশাপাশি ওয়াচ টাওয়ারগুলো থেকে সার্বক্ষণিক নজরদারি করছি, যাতে সমুদ্রস্নানে কোনো পর্যটক বিপদে না পড়েন।’
সমুদ্রস্নান ছাড়াও পর্যটকদের নিরাপত্তায় সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছে টুরিস্ট পুলিশ। আর হয়রানি রোধে মাঠে রয়েছে জেলা প্রশাসন।

পাঠকের মতামত

রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান ঠেকাতে বিজিবির বুলেটপ্রুফ গাড়িতে টহল

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি পয়েন্টে মরিয়া হয়ে সক্রিয় থাকা রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে আর চোরাচালান বন্ধে ...

কানাডায় স্ত্রী ও সন্তানকে রেখেই প্রতারণার মাধ্যমে বিয়ের পিড়িতে চকরিয়া নুর!

কক্সবাজারের টেকনাফ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া পরবর্তীতে কানাডায় বসবাসরত নুর বেগম নামের এক মহিলাকে বিয়ের ...