কক্সবাজারের চকরিয়ায় সিএনজি চালিত অটোরিক্সার ভাড়ার টাকা নিয়ে বাড়াবাড়ির সময় চালকেরই ভাগ্নের এক ঘুষিতেই প্রাণ হারিয়েছে ৭ মাস বয়সের এক শিশু। ঘটনার আকস্মিকতায় ঘাতক ভাগ্নে ও চালক ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত সটকে পড়ে। গতকাল শনিবার রাত ৯টার দিকে পৌরশহর চিরিঙ্গার বাঁশঘাট সড়কের কামাল ম্যানশনের অদূরে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শিশুর নাম রোশনী আক্তার (৭মাস)। সে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার গারাঙ্গিয়া এলাকার মনজুর আলমের কন্যা।
নিহত শিশুর বাবা মনজুর আলম জানান, বাড়ি চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় হলেও ব্যবসার সুবাদে তিনি স্ব-পরিবারে থাকতেন চকরিয়া পৌরশহর চিরিঙ্গার বাঁশঘাট সড়কের কামাল ম্যানসনে। গত কয়েকদিন ধরে তার কন্যা রোশনী অসুস্থ হলে চট্টগ্রাম শহরের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা দেন। সুস্থ হওয়ার পর গতকাল শনিবার চট্টগ্রাম থেকে চকরিয়ার ভাড়া বাসায় নিয়ে আসছিলেন রোশনীকে। গতরাতে মেয়েকে নিয়ে চকরিয়া পৌরশহর চিরিঙ্গার পুরাতন বাস স্টেশন এলাকায় নেমে সেখান থেকে একটি সিএনজি চালিত অটোরিক্সায় চেপে বাসার সামনে যান। কিন্তু সিএনজি অটোরিক্সা চালক নাছির উদ্দিন ভাড়া নিয়ে তর্কাতর্কিতে জড়ান। এ সময় চালক নাছিরের ভাগ্নে মোহাম্মদ ফয়সাল মামার পক্ষ নিয়ে শিশু রোশনীর বাবা ও মাকে মারধর করে। মা’ কে ঘুষি মারার সময় একটি ঘুষি গিয়ে লাগে শিশু রোশনীর বুকে। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায় শিশু রোশনী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সিএনজি অটোরিক্সা চালক নাছিরের বাড়ি বাঁশঘাটা এলাকায় হওয়ায় স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় দ্রুত সটকে পড়েন নাছির ও তার ভাগ্নে ফয়সাল। এর পরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন চকরিয়া থানার ওসি মো. জহিরুল ইসলাম, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কামরুল আজমসহ বিপুল সংখ্যক পুলিশ।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, শিশুটিকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়। তবে ঘুষির আঘাতে শিশুটির বুকে ফুলা জখমের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
চকরিয়া থানার ওসি মো. জহিরুল ইসলাম খান বলেন, ‘শিশু হত্যায় জড়িত সিএনজি অটোরিক্সা চালক নাছির ও তার ভাগ্নে ফয়সালকে ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। এ ব্যাপারে পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দিলে মামলা নেওয়া হবে।’ সুত্র দৈনিক আজাদী