গভীর সমুদ্র ছেড়ে একে একে কক্সবাজারের বাঁকখালী নদীর মোহনা দিয়ে ফিরছে শত শত ফিশিং ট্রলার। তার মধ্যে বাঁকখালী নদীর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের জেটিঘাটে নোঙর করেছে শহরের নুনিয়ারছড়ার আব্দুর রশীদের মালিকানাধীন এফবি মায়ের দোয়া ট্রলার। এই ট্রলারকে ঘিরে উৎসুক মানুষের ভিড়, চলছে দর-কষাকষিও। ট্রলার থেকে নামানো একে একে ইলিশভর্তি ঝুড়ি, যা নিয়ে ব্যস্ততার শেষ নেই জেলেদের। এই ট্রলারের দুই হাজার ৮০০ ইলিশ বিক্রি হয়েছে ২২ লাখ টাকায়।
ট্রলারের জেলে রফিক বলেন, গত দুই মাস ধরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেতের কারণে বারবার সাগরে গিয়ে মাছ শিকার না করে ফিরতে হয়েছে। ওই সময়গুলোতে কয়েক দিন মাছ শিকার করলেও মাছ পাওয়া যায়নি। এবারও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে ফের মাছ শিকার না করে উপকূলে ফিরেছি। তবে এবার ৫ দিন মাছ শিকার করে দুই হাজার ৮০০ ইলিশ পেয়েছি, যা বড় আকারের ইলিশ। ইলিশগুলো ২২ লাখ টাকা বিক্রি হয়েছে।
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে ফের সাগরে মাছ শিকার না করে উপকূলে ফিরেছে ট্রলারগুলো। তবে এবার প্রতিটি ট্রলারে রয়েছে ইলিশ। যার কারণে জেলেদের পাশাপাশি ট্রলার মালিকরা খুশি। আর ইলিশের দামও চড়া বলে জানিয়েছে মৎস্য ব্যবসায়ীরা।
বাঁকখালীর নদীর উপকূলে নোঙর করা সারি সারি ট্রলার। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে এসব ট্রলার ফিরেছে বাঁকখালী নদীর ঘাটে। তবে প্রতিটি ট্রলারে রয়েছে ইলিশ। এতে যেন ঘাটে ফিরে মহাব্যস্ত জেলেরা। একই সঙ্গে খুশি ট্রলারের মালিকরা।
আব্দুর শুক্কুর নামের এক জেলে বলেন, সাগর থেকে ফিরেছি, তবে এবার ভালো মাছে পেয়েছি, যা ৭ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
ট্রলার মালিক হুমায়ুন কবির বলেন, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে গত দুই মাসে ২০ লাখ লোকসান হয়েছে। তবে এবার ইলিশ পাওয়া লোকসান কিছুটা পুষিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।
মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পন্টুনে ইলিশে সয়লাব। স্তূপ করে রাখা ইলিশ নিয়ে চলছে মাতামাতি। তবে ইলিশের দাম চড়া।
মৎস্য ব্যবসায়ী আবদুল হাকিম বলেন, গত ১২ দিন মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র মাছশূন্য ছিল। এখন যেহেতু ট্রলার ফিরেছে, মাছ পেয়েছে। তাই ইলিশের দাম চড়া।
আরেক ব্যবসায়ী মফিজ বলেন, বড় আকারের ১০০ ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এক লাখ ৬০ হাজার টাকায়, মাঝারি আকার এক লাখ টাকা ও তার চেয়ে ছোট আকারের ইলিশ ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য সময়ের তুলনায় ১০০ ইলিশে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা দাম বাড়তি।
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে কক্সবাজার উপকূলে ফিরেছে ৩ হাজারের বেশি ফিশিং ট্রলার।
পাঠকের মতামত