উখিয়া নিউজ ডটকম::
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোঃ আলী হোসেন বলেছেন, কতিপয় শিক্ষক কোচিং নীতিমালা না মেনে প্রাইভেট বাণিজ্য অব্যাহত রেখেছে। প্রাইভেটের কারণে তারা ক্লাসে ভাল মতো সময় দেয় না। কোচিং করতে চাপ প্রয়োগ করে স্কুলের ছাত্রদের। এসব শিক্ষকদের চিহ্নিত করে সতর্ক করুণ।
মানবিক বিবেচনায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। সতর্ক করার পরও বেপরোয়াভাবে কোচিং করালে সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে প্রশাসন।
তবে প্রশাসন চায়না শিক্ষকদের মানহানি হোক। তাই কোচিং বন্ধ ও সরকারি নীতিমালা বাস্তবায়নে সবাইকে সচেতন হবে। কাজ করতে হবে ঐক্যবদ্ধভাবে।
বৃহস্পবার সকালে জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে কোচিং নীতিমালা বাস্তবায়নে শিক্ষকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।
নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ফারজানা হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ মাহিদুল ইসলাম।
সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, শিক্ষকদের প্রতি আমাদের আক্রোশ নেই। কিন্তু অনেক শিক্ষক ক্লাসের সিলেবাস শেষ না করে কোচিং নিয়ে ব্যস্ত থাকে। এ ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সচেতন হতে হবে।
তাদের যথাযথ তদারকি করতে হবে। অনেক শিক্ষক চাকরি ছাড়লেও কোচিং বন্ধ করবেনা বলে হুমকী দেয়। তাদের চাপ প্রয়োগ করতে হবে।
কোচিং বন্ধে গঠিত কমিটি প্রয়োজনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে মনিটরিং করবে। ক্লাসে আকর্ষণীয় পাঠদানসহ সঠিক সময়ে সিলেবাস শেষ করার প্রবণতা তৈরি করা আবশ্যক। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু তাহের।
উন্মুক্ত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মফিদুল আলম, কক্সবাজার সিটি কলেজের অধ্যক্ষ ক্যথিং অং, কক্সবাজার ইসলামি মহিলা বালিকা মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা জাফর উল্লাহ নূরী, কক্সবাজার সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনমোহন রায়, কক্সবাজার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নাসির উদ্দিন, পৌর প্রিপ্যার্যাটরি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম ও আমেনা খাতুন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা পান্না।
সভায় বক্তারা বলেন, কোচিং নীতিমালা বাস্তবায়ন হোক আমরা সকলে চাই। তবে ভাল ফলাফলের জন্য অনেক ক্ষেত্রে যোগ্য ও দক্ষ শিক্ষকদের দারস্থ হওয়া প্রয়োজন। কোচিং নীতিমালার আলোকে শিক্ষকদের প্রাইভেট পড়ার জন্য তাগিদ দেয়া হবে।
তবে হঠাৎ কোন শিক্ষকের বিরুদ্ধে পুলিশী অভিযান সম্মানহানিকর। তাই তা না করে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কাজ করলে কমে যাবে কোচিং বাণিজ্য।