উখিয়া নিউজ ডেস্ক::
কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়িতে আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ তৃতীয় প্রকল্পে ৭৭৫ কোটি টাকা (৯৫.৬ মিলিয়ন ডলার) ঋণ দিচ্ছে জাপান। এর ফলে মাতারবাড়ির এ বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়ার আশা করছে সরকার। গত ২৯ জুন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) ও জাপানের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থার (জাইকার) মধ্যে এ বিষয়ে চুক্তি হয়।চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রকল্প’র পরিচালক উপস্থিত ছিলেন।
জাইকার ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী জানা যায়,মাতারবাড়ি বিদ্যূৎ প্রকল্পে জাইকার ঋণ আগেই অনুমোদন করা হয়েছিল। এখন ঋণ চুক্তি সই হল।এ প্রকল্পের প্রাথমিক ক্রয়ের জন্য চলতি জুলাই মাসেই টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হবে।২০১৬ সালের জুন মাসে জাইকা মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ প্রকল্পের একটি ফেইজে ৩৩ কোটি ৬৬ লাখ ডলার দেওয়ার চুক্তি করলেও ওই বছর ১ জুলাই গুলশানে জঙ্গি হামলার পর দরপত্র প্রক্রিয়া স্থগিত করা হয়।
জাইকার ওয়েবসাইট থেকে আরও জানা যায়,বার্ষিক দশমিক ৭০ শতাংশ সুদের এই ঋণ শোধ করতে বাংলাদেশ সময় পাবে ৩০ বছর। রেয়াতকাল (গ্রেস পিরিয়ড) ধরা হয়েছে ১০ বছর। অর্থাৎ চুক্তির প্রথম ১০ বছর পর থেকে ঋণের কিস্তি পরিশোধ শুরু হবে।
উল্লেখ্য দেশের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতায়ন ও শিল্পায়নের কারণে দেশে বিদ্যুতের চাহিদা বছরে ১০ শতাংশ হারে বাড়ছে। এ কারণে কক্সবাজারের মাতারবাড়িতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য ২০১৪ সালে ৩৬ হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন করে সরকার। সে সময় সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়, এই প্রকল্পে ২৯ হাজার কোটি টাকা দেবে জাইকা। বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ ২০২৩ সালের অক্টোবরে শেষ হবে বলে আশা করছে সরকার।আর এ প্রকল্পটি বর্ধিত চাহিদা মেটাতে সহায়তা করবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।