কক্সবাজারের পেকুয়ায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে এক গৃহবধূর আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে। নিহত ২ সন্তানের জননী জেসিয়া সুলতানা (২৫) উজানটিয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের সুতাচোরা এলাকার ফজলুল করিমের স্ত্রী।
গৃহবধূ জেসিয়া সুলতানা চকরিয়া উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের হামিদুল্লাহ সিকদার বাড়ির মৃত সেলিম নেওয়াজের মেয়ে।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় পেকুয়া সদর ইউনিয়নের বাইম্যাখালী এলাকার জে এস ভবনের ৩ তলা ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের স্বামী ফজলুল করিম জানান, আমার স্ত্রী সন্ধ্যায় বাপের বাড়ি থেকে স্ত্রীর ভাইয়ের নববধূ নিসা জান্নাতকে নিয়ে নতুন বাসায় উঠে। এর আগে আমি গতকাল শ্বশুর বাড়ি থেকে নতুন বাসায় আসবাবপত্র গোছাতে চলে আসি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আমার স্ত্রী বাসায় এসে আসবাবপত্র গোছানো পছন্দ না হওয়ায় আমার স্ত্রীর সাথে রাগারাগি করে। পরে আমি বাসার নিচে পানি আনতে গেলে আমার স্ত্রীর ভাইয়ের নববধূ নিসা জান্নাত আমাকে ফোন দিয়ে দ্রুত বাসায় আসতে বলে।
তিনি আমাকে জানান আমি পানি আনতে যাওয়ার পর আমার স্ত্রী অন্যরুমে ডুকে দরজা বন্ধ করে দেয়। পরে অনেক ডাকাডাকি করে সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে আমরা ভিতরে ডুকে স্ত্রীকে ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। তাৎক্ষণিক তাকে উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের ভাইয়ের স্ত্রী নিসা জান্নাত জানান, সন্ধ্যায় আমার ননদের সাথে তার বাসায় বেড়াতে আসি। এ সময় ননদের ঘরের আসবাবপত্র গোছানো পছন্দ না হলে তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তর্কাতর্কি হয়।
ননদের স্বামী বাসার নিচে পানি আনতে গেলে হঠাৎ আমার ননদ অন্যরুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। পরে ননদের স্বামীকে ডেকে এনে দরজা ভেঙে ননদকে ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাই ।
এ বিষয়ে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফা বলেন, দুই সন্তানের জননী জেসিয়া সুলতানা নামে এক গৃহবধূ গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশের একটি টিম পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যায়।
গৃহবধূর লাশ উদ্ধারপূর্বক সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। প্রাথমিকভাবে এটিকে আত্মহত্যা ঘটনা বলে ধারণা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে হত্যা না আত্মহত্যা তা নিশ্চিত হয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।