প্রকাশিত: ০৪/০৮/২০১৬ ৮:০৬ এএম

map4তোফায়েল আহমদ, কক্সবাজার ::

পর্যটননগরী কক্সবাজারে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ছে। জেলার প্রতিটি ইউনিয়নের তথ্যসেবা কেন্দ্রে রয়েছে তাঁদের বিচরণ। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তৈরি হচ্ছে নারী উদ্যোক্তাও।

এ প্রসঙ্গে সদর উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের উদ্যোক্তা রোজিনা আক্তার বলেন, ‘আমি বিভিন্ন স্থানে গ্রাফিক্স ও ওয়েব ডিজাইনের ওপর প্রশিক্ষণ নিয়েছি। এখন ঈদগাঁ ইসলামপুর ইউনিয়ন তথ্যসেবা কেন্দ্রে কাজ করছি।’

তিনি জানান, এতে তাঁর ভালো আয় হচ্ছে। পাশাপাশি আগ্রহী নারীদের সহযোগিতাও করছেন তিনি। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারিভাবে সহযোগিতা পেলে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নারীদের অংশগ্রহণ আরও বাড়বে বলে মনে করেন রোজিনা।

চকরিয়া কাকারা ইউনিয়নের নারী উদ্যোক্তা সাদিয়া কাউসার খানম বলেন, ‘তথ্যকেন্দ্রে জন্মনিবন্ধন ও বিভিন্ন সনদ প্রদান, ইন্টারনেটে বিদেশে কথা বলা, গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও চাহিদা মতো বিভিন্ন ডিজাইনের গ্রাফিক্স সেবা দিয়ে থাকি। এতে মাসে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় হচ্ছে।’

তিনি জানান, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে অনেক কাজ ঘরে বসেই করা যায়। আর ওই ধরনের কাজ করার সুযোগ নারীদেরই বেশি।

এখানকার নারীর এমন আগ্রহ দেখে খুবই আনন্দিত জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান ও কক্সবাজার জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী কানিজ ফাতেমা আহমেদ। তিনি বলেন, ‘তৃণমূল নারী উদ্যোক্তারা পারবেন বাংলাদেশকে অনেক দূর এগিয়ে নিতে।’

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আব্দুর রহমান বলেন, ‘শিক্ষার হারে কক্সবাজারের মেয়েরা অনেক পিছিয়ে। সরকার চায় কোনো মেয়ে যেন প্রাথমিক শিক্ষার বাইরে না থাকে। তাই বিকল্প কর্মসংস্থান হিসেবে আইসিটি খাতকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।’

তিনি জানান, বর্তমানে কক্সবাজারের ৭১ ইউনিয়নের তথ্যসেবা কেন্দ্রে নারীরা কাজ করছেন।

জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন বলেন, ‘দিন দিন বিশ্বে আইসিটির বাজারের ক্ষেত্র বাড়ছে। সৃষ্টি হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থান। হয়তো আইসিটিতে পুরুষের তুলনায় নারীরা পিছিয়ে। কিন্তু ইন্টারনেট ব্যবহারে মোটেও পিছিয়ে নেই তাঁরা। তবে এখন কক্সবাজারের চিত্র পাল্টে যাচ্ছে।’

তিনি জানান, কক্সবাজার জেলার প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে আইটি বিষয়ে নারী উদ্যোক্তা রয়েছেন। এখন নারীরা আইসিটি খাতের অর্থনৈতিক সম্ভাবনার গুরুত্ব বুঝতে পারছেন এবং ওই খাতে কর্মজীবন ও পেশাজীবন গড়ার কথা ভাবছেন।

এদিকে কক্সবাজারে ‘নারী আইসিটি ফ্রিল্যান্সার এবং উদ্যোক্তা উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায়’ ‘গ্রাফিক্স ও ওয়েব ডিজাইন’ বিষয়ক প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠান গত সোমবার অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন।

অনুষ্ঠানে পেকুয়া ছাড়া বাকি সাত উপজেলার ৪০ অংশগ্রহণকারী নারীকে সনদ দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় গত একমাস তাঁরা কক্সবাজার সৈকত বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও জেলা প্রশাসকের আইটি কক্ষে গ্রাফিক্স ও ওয়েব ডিজাইন বিষয়ক প্রশিক্ষণ নেন। প্রশাসনের সহযোগিতায় এটি কক্সবাজারে প্রথম ‘নারী আইসিটি ফ্রিল্যান্সার এবং উদ্যোক্তা উন্নয়ন’ কর্মসূচি বলে জানা গেছে।

পাঠকের মতামত

মেয়াদবিহীন ইন্টারনেট প্যাকেজ চালুর কথা বললেন উপদেষ্টা নাহিদ

জনগণের চাহিদার কথা বিবেচনা করে মেয়াদবিহীন ইন্টারনেট প্যাকেজ চালুর জন্য বাংলালিংক প্রতিনিধিদের বললেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ...