সাপ্তাহিক ও বড়দিনের টানা তিনদিনের ছুটিতে পর্যটকের ঢল নেমেছিল কক্সবাজারে। তিনদিনে তিন লাখেরও বেশি পর্যটক অবস্থান করেছিল। এতে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ২৫০ কোটি টাকার বাণিজ্য হয়েছে। ফলে খুশি চার শতাধিক হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁসহ বিভিন্ন বিপণিবিতান মালিকরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২৩ ডিসেম্বর থেকে টানা তিনদিনের ছুটিতে পর্যটকে মুখর হয়ে ওঠে কক্সবাজার। আগের রাত বৃহস্পতিবার থেকে শহরের হোটেল-মোটেল পর্যটকরা আসতে শুরু করেন। শুক্রবার সকাল থেকে সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে পর্যটকের উপচেপড়া ভিড় চোখে পড়ে।
ট্যুরস অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব কক্সবাজার (টুয়াক) আনোয়ার মোস্তফা বলেন, হতাশায় আলো দেখিয়েছে বড়দিনের ছুটি। সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে বড়দিনের ছুটির সুযোগকে কাজে লাগাতে ভ্রমণপ্রেমীরা কক্সবাজার এসেছেন। এ তিনদিনের জন্য অনেকে আগাম বুকিং দিয়ে উঠেন হোটেল-মোটেল ও কটেজে। ব্যয়বহুল জেনেও অনেকে আগাম টিকেট কেটেছে কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন নৌরুটে চলা কর্ণফুলী ও বার আউলিয়া জাহাজে। ফলে সেন্টমার্টিনেও এবারে আগাম কিছু বুকিং পেয়েছে সেখানকার হোটেল ব্যবসায়ীরা।
কক্সবাজার হোটেল-গেস্ট হাউজ মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, টানা বন্ধে আমাদের আশা ছিল কক্সবাজারে ৪-৫ লাখ পর্যটক আসবেন। কিন্তু তা হয়নি। এসেছেন আড়াই থেকে তিন লাখের মতো পর্যটক। এরপরও আমরা আনন্দিত।
কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আবু মোরশেদ চৌধুরী খোকা বলেন, পর্যটনে আয়ের হিসেব হয় জনপ্রতি খরচের ওপর। কক্সবাজারে বেড়াতে আসা পর্যটকরা সবধরনের সেবা গ্রহণে গড়ে ১০ হাজার টাকা খরচ করেন। সেই হিসেবে তিনদিনে ২৫০ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে।
কক্সবাজার রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম ডালিম বলেন, সমিতির তালিকাভুক্ত শতাধিকসহ কক্সবাজার পর্যটন জোনে চার শতাধিক রেস্তোরাঁ রয়েছে। পর্যটক শূন্যতায় সবাই দুর্বিষহ দিন কাটিয়েছি। গত তিনদিন সবার কমবেশি ব্যবসা হয়েছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের এসপি মো. জিল্লুর রহমান বলেন, অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ছাড়া তিনদিনের টানা ছুটি শেষ করতে পেরেছি। এ তিনদিন পর্যটকদের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তৎপর ছিলেন।