
আতিকুর রহমান মানিক, কক্সবাজার।
কক্সবাজারের তিন উপজেলায় প্রায় ১৫ ঘন্টা যাবৎ বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। এর ফলে অন্ধকারে ডুবে থাকা তিন উপজেলার জনগন বৈশাখের প্রচন্ড গরমে প্রায় আলুসিদ্ধ হওয়ার অবস্হায় পড়েছেন। পূর্বের কোন ঘোষনা ছাড়াই ঈদগাঁও, উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে চরম বিড়ম্বনা পোহাচ্ছেন তিন উপজেলার ১ লক্ষ বিশ হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহক। কক্সবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতাধীন তিনটি ফিডারে প্রায় ১৫ ঘন্টা যাবৎ বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে।
উখিয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক মানব জমিনের স্টাফ রিপোর্টার সরওয়ার আলম শাহীন জানান, উখিয়া উপজেলায় গতরাত থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। বিদ্যুৎ না থাকায় মোবাইল প্রচন্ড গরমজনিত ভোগান্তির পাশাপাশি মোবাইল নেটওয়ার্কও বিচ্ছিন্ন হয়েছে বলে জানান সাংবাদিক শাহীন।
টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দা আলী হোসাইন বলেন, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত থেকে পুরো টেকনাফে বিদ্যুৎ নেই। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন জনগন।
ঈদগাঁও আদর্শ সাংবাদিক পরিষদের সভাপতি আনোয়ার হোছাইন বলেন, ঈদগাঁও উপজেলায় গত রাত থেকে বিদ্যুৎ নেই। বৈদ্যুতিক মোটর বন্ধ থাকায় শুক্রবার (১০ মে) জুমার নামাজের সময় বিভিন্ন মসজিদে অজুর পানি না পেয়ে ভোগান্তির শিকার হয়েছেন মুসল্লীরা।
বিকাল সাড়ে ৪ টায় এ রিপোর্ট লেখার সময়ও উপরোক্ত তিন উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু হয়নি। এদিকে এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নেটিজেনরা। পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই এভাবে বিদ্যুৎ বন্ধ রাখাকে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালীপনা হিসাবেও অভিহিত করেছেন তারা।
কক্সবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মকবুল আলম বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের বিষয়টি স্বীকার করে নয়া দিগন্তকে বলেন, পিজিসিবি প্রকল্পের আওতায় লাইনে কেবল চেঞ্জ করা হচ্ছে । তাই জেলার তিন ফিডারে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে। ঈদগাঁও, উখিয়া ও টেকনাফ ফিডারে প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার গ্রাহক আছে জানিয়ে জিএম আরো বলেন, রক্ষণাবেক্ষণ কাজ শেষে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করা হবে।
পাঠকের মতামত