প্রকাশিত: ০২/০৯/২০১৮ ৭:০৫ এএম

শাহজাহান চৌধুরী শাহীন, কক্সবাজার::
কারাবন্দীদের মাদকদ্রব্য সেবন, বহন, পাচার ও ব্যবসার পথ পরিহার করে সুস্থ, সুন্দর জীবন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে শনিবার ( ১ সেপ্টেম্বর) কক্সবাজার জেলা কারাগারে মাদকবিরোধী আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মাদকমুক্ত তরুণ প্রাণে, গড়বো দেশ যুক্তির গানে’ স্লোগানকে সামনে রেখে শপথ করে মাদক স্পর্শ না করার অঙ্গিকার করেছেন কক্সবাজার জেলা কারাগারে বন্দি দুই শতাধিক হাজতী (কারাবন্দি)।

কক্সবাজার জেলা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অফিসের উদ্যোগে শনিবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত জেলা কারাগার অভ্যন্তরে আয়োজিত এক মাদক বিরোধী সমাবেশে এই শপথ গ্রহণ করেন বন্দিরা। তারা দীপ্ত শপথ গ্রহণ করে মাদক ( যে কোনও ধরনের নেশা জাতীয় দ্রব্য) পরিহারের অঙ্গিকার করেন এবং তারা জেলেই সংশোধন হয়ে মাদককে কোন দিন স্পর্শ করবে না, মাদককে ঘৃণা করবে। ফিরে আসবে স্বাভাবিক জীবনে।

শনিবার দুপুর ১টায় শপথবাক্য পাঠ করান কক্সবাজার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সোমেন মন্ডল। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, কক্সবাজার জেলা কারাগার সুপার বজলুর রশিদ আখন্দ,ডেপুটি জেলার মনির আহমেদ, কক্সবাজার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক আবু নাঈম মাসুম, ডেপুটি জেলারগণ, মাদ্রকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অফিসের কর্মকতাগণ।

ডিএনসি কক্সবাজারের সহকারী পরিচালক সোমেন মন্ডল বলেন, মাদক এখন গোপন আততায়ী হয়ে যুব সমাজ, দেশ ও জাতিকে ধ্বংস করছে। যা ভবিষ্যতের জন্য অশনি সংকেত। এখনই মাদকের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে না পারলে অবক্ষয়ের চোরাবালিতে ঢুবে যাবে গোটা জাতি, ভেঙে পড়বে সমাজব্যবস্থা। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য আমরা মাদকের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করার পাশাপশি সব ধরনের মাদককে ‘না’ বলার শপথ নিয়েছি।

সভায় কক্সবাজার কারা সুপার বজলুর রশিদ আখন্দ বলেন, দিন দিন মাদকাসক্তের সংখ্যা উদ্বেগজনকভাবে বেড়েই চলছে। এভাবে যদি বাড়তে থাকে তাহলে এক সময় প্রতিটি পরিবারেই মাদকাসক্ত ব্যক্তির উপস্থিতি দেখা যাবে। তখন প্রতিটি পরিবার এমনকি পুরো সমাজকে মাদকাসক্তের সমস্যা মোকাবেলা করতে হবে। মাদক নির্মূলে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। পাশাপাশি নিজের প্রতি ও সন্তানদের প্রতি আরও মনোযোগী হতে হবে।

অভিন্ন মন্তব্য করে কয়েকজন হাজতী বলেন, মাদকবিরোধী সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বেশি বেশি করে এই ধরনের অনুষ্ঠান প্রয়োজন। কারণ শপথ গ্রহণ করে ফের গোপনে বা প্রকাশ্যে মাদক গ্রহণে কিছুটা হলেও তাদের নিরুৎসাহিত করবে। এতে করে মাদকের কালো থাবা থেকে সবাইকে ফিরিয়ে আনা অনেকটাই সহজ হবে।

পাঠকের মতামত