কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে দুর্নীতির অভিযোগে আওয়ামী লীগ নেতা সালাহ উদ্দিন আহমদ সিআইপিসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) কক্সবাজার জেলা সিনিয়র স্পেশাল জজ মুন্সী আব্দুল মজিদের আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়।
মামলার বাদী লায়ন মুহাম্মদ মুজিবুর রহমান। তিনি কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান।
লায়ন মুজিবুর রহমান জানান, সালাহ উদ্দিন আহমেদ আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়টি দখলে রেখেছিলেন। সেই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ২ কোটি ৪৮ লাখ ৪৬ হাজার ৪০১ টাকা দুর্নীতি হয়েছে। তার কাছে জিম্মি করে রেখেছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কর্মকর্তা, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দখলমুক্ত হয় কক্সবাজারের একমাত্র সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনে দীর্ঘ সাড়ে চার বছর পর বিশ্ববিদ্যালয়টি রাহুমুক্ত হওয়ায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
লায়ন মুজিবুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার জন্য ইউজিসির সুষ্পষ্ট নীতিমালা থাকলেও তার কোনো তোয়াক্কা করেনি সালাহ উদ্দিন আহমেদ সিন্ডিকেট। ইচ্ছে মতো নিয়োগ দিয়েছেন। ছাঁটাই করেছেন। নামে বেনামে বিশ্ববিদ্যালয়ের লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশে বিশ্ববিদ্যালয়কে ব্যবহার করেছেন।
উচ্চশিক্ষায় কক্সবাজারকে এগিয়ে নেয়ার স্বপ্ন থেকে কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তিনি। ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর প্রথম ৭ বছরের রেকর্ড খুবই চমকপ্রদ ছিল। মাঝপথে এসে ২০২০ সালে একটি অবৈধ দখলবাজ চক্র কক্সবাজারবাসীর এ সম্পদকে লুটেপুটে খাওয়ার মিশনে নামে। আওয়ামী লীগ নেতা সালাহ উদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে একটি দখলদার গোষ্ঠী বেআইনিভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃত্ব হাতে নিয়ে শিক্ষার পরিবেশকে ধ্বংস করে। বিশ্ববিদ্যালয়কে রাজনৈতিক দলের অফিস বানিয়ে নেয়। যে কারণে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা তাদের প্রাণের ক্যাম্পাস থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হয়। ঠিক এমন দুঃসময়ে দেশের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে পতন ঘটে আওয়ামী লীগ সরকারের। রাহুমুক্ত হয় কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। ভুক্তভোগী শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারিদের আহবানে লায়ন মুজিবুর রহমান প্রতিষ্ঠানের হাল ধরেন।