কক্সবাজার শহরের কলাতলী এলাকায় ৪টি পাহাড় কেটে আবাসিক এলাকা তৈরির অভিযোগে জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আতিক উদ্দিন চৌধুরীসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। এ ৪টি পাহাড় কাটার ঘটনায় গতকাল সোমবার সকালে পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের সিনিয়র কেমিস্ট মো. আব্দুছ ছালাম বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় চারটি মামলা দায়ের করেছেন।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়জুল আজিম মামলা নথিভুক্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মামলায় জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক শহরের রুমালিয়ারছড়া এলাকার মৃত মুসলেহ উদ্দিন চৌধুরীর ছেলে আতিক উদ্দিন চৌধুরী ছাড়াও আসামি হিসেবে রয়েছেন কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের জানারঘোনা এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে সাইফুল ইসলাম মানিক (৩৬), কক্সবাজার পৌরসভার বড়ুয়াপাড়া এলাকার কালীচরণ বড়ুয়ার ছেলে লিটন বড়ুয়া (৪৪), ঈদগাঁও মাইজপাড়া এলাকার বাসিন্দা লেদু মিয়ার মেয়ে রশিদা বেগম (৩৮), পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়া শিলখালী এলাকার বাসিন্দা মৌলভী করিম দাদের ছেলে ডাক্তার মুজিবুল হক (৬৫), কঙবাজার থেকে প্রকাশিত দৈনিক বাঁকখালী পত্রিকার সম্পাদক সাইফুল ইসলাম চৌধুরী ও মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম।
কলাতলী এলাকায় ৪টি সরকারি পাহাড় কেটে প্লট বানিয়ে বিক্রি করার খবর পেয়ে গত ২৮ সেপ্টেম্বর পাহাড় কাটার স্থান পরিদর্শন করেন কঙবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিলুফা ইয়াসমিন চৌধুরীর নেতৃত্বে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বন বিভাগের একটি দল। তারা চারটি স্থানে পাহাড় কাটার প্রমাণ পান। পরে পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের নির্দেশে মামলা করে পরিবেশ অধিদপ্তর।
পরিবেশ অধিদপ্তর কঙবাজার জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক জমির উদ্দিন বলেন, শহরের কলাতলী এলাকার ৪টি স্থান পরিদর্শন করে পাহাড় কাটার সত্যতা পাওয়ায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ৪টি মামলা করা হয়েছে। জড়িতদের নাম–ঠিকানা সংগ্রহ করতে সময় লাগায় মামলা করতে কয়েকদিন বিলম্ব হয়েছে।