কক্সবাজারে ট্যুরিস্ট পুলিশের কনস্টেবল মো. পারভেজ হত্যা মামলায় একজনকে ফাঁসি ও দুজনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একই সঙ্গে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মামলায় অপর চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণীত না হওয়ায় তাদের খালাস দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালত- প্রথম আদালতের বিচারক মহিউদ্দিন মুরাদ এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিসহ তিন আসামি কাটগড়ায় উপস্থিত ছিলেন
মৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির নাম আবু তাহের (৩২)। তিনি কক্সবাজার শহরের ঘোনারপাড়া আবুল কালামের ছেলে। সাজাপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন বাদশাহঘোনা নতুনপাড়া এলাকার বাসিন্দা শাহ আলমের ছেলে আব্দুল মালেক ও ঘোনারপাড়া বড় কবরস্থান এলাকার শাহ আলম সওদাগরের ছেলে মো. খালেদ খোকন। পলাতক রয়েছেন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মো. খালেদ খোকন।
নাটোরে শিশু ধর্ষণের দায়ে একজনের যাবজ্জীবন
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (এপিপি) মোজাফফর আহমদ হেলালি বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামি আবু তাহেরের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণীত হওয়ায় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় ফাঁসি এবং ৩৯৫ ধারায় ১০ বছর কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, অপর দুই আসামিকে দণ্ডবিধির ৩৯৫ ধারায় ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন বিজ্ঞ আদালত। সাক্ষ্যপ্রমাণে অপর চারজনের বিরুদ্ধ অভিযোগ প্রমাণীত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালে ২৩ জুলাই কক্সবাজার শহরের জাম্বুর মোড় এলাকায় ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ট্যুরিস্ট পুলিশের কনস্টেবল মো. পারভেজ। এ ঘটনায় ট্যুরিস্ট পুলিশের আরেক কনস্টেবল রাজিব চাকমা বাদী হয়ে একইদিন আবু তাহেরসহ সাতজনকে আসামি করে কক্সবাজার মডেল থানায় একটি মামলা করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মডেল থানার তৎকালীন পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী একই বছর ২৪ নভেম্বর অভিযুক্ত ৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশীট দেন। ২০১৯ সালের ১ অক্টোবর চার্জ গঠন করে বাদী, চিকিৎসক, তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আজ এ রায় ঘোষণা করেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী নুরুল মোস্তফা মানিক বলেন, আমরা ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছি। রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাব।