উখিয়া নিউজ ডেস্ক::
চট্টগ্রামের পটিয়ায় প্লাস্টিক জাতীয় পদার্থ দিয়ে তৈরি বিপুল পরিমাণ কৃত্রিম ডিম পুলিশ উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় তিনজনের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা হয়েছে। তারা হলেন, পটিয়া পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা নজরুল ইসলামের পুত্র মো. আরমান (২৩), কক্সবাজার জেলার পেকুয়া উপজেলার আবুল কাশেমের পুত্র মো. বেলাল উদ্দীন (৩২)। এছাড়া রামু উপজেলার বাসিন্দা মাওলানা নুরুল ইসলামের পুত্র নুরুল আবছার (৩০)কে আসামি করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত দুজন আরমান ও বেলালকে গতকাল (রোববার) পটিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহিদুল ইসলামের আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনা নিয়ে পটিয়ার পুরো উপজেলায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, পটিয়া যুগ্ম জেলা জজ আদালতের অধীনে বোয়ালখালী আদালতের বিচারক মো. মনিরুল ইসলাম গত শুক্রবার সন্ধ্যায় পৌর সদরের কামাল বাজার এলাকার একটি দোকান থেকে ৬টি ডিম ক্রয় করেন। সাদা রঙের ডিমগুলো বাসায় নিয়ে তিনি তা দিয়ে নুডুলস বানাতে গেলে একপর্যায়ে ডিমগুলো ঘোলা হয়ে যায় এবং তা প্লাস্টিকের মতো গলে যায়। এতে বিচারকের সন্দেহ হলে পুলিশসহ বিচারক পুনরায় ডিমের দোকানে গিয়ে প্রায় দুই হাজার ডিম জব্দ করেন। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ দোকান মালিক আরফাতের ছোট ভাই আরমানকে আটক করেছে। মো. আরফাতের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ডিমগুলো কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার এসএইচ পোলট্রি অ্যান্ড ফিড নামের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে পাইকারি কিনেছেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ওই প্রতিষ্ঠান থেকে পাইকারি ডিম কিনে পটিয়া কামাল বাজার এলাকার তার ডিমের দোকানে বিক্রি করে আসছিলেন। তবে ডিমে ভেজাল আছে কি না তিনি জানেন না বলে জানান। পুলিশের ধারণা, প্লাস্টিক জাতীয় পদার্থ দিয়ে তৈরি নকল ডিমগুলো কক্সবাজার থেকে একটি সিন্ডিকেট পটিয়াসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বাজারজাত করে আসছিল। সিন্ডিকেটের মূল হোতাকে ধরতে পারলেই নকল ডিম তৈরির কারখানার সন্ধান পাওয়া যাবে। এ ব্যাপারে পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো. রেজাউল করিম মজুমদার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, প্লাস্টিক জাতীয় পদার্থ দিয়ে তৈরি নকল ডিম বাজারজাত করার ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করা হয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ভেটেরিনারি হাসপাতালে পাঠানো হবে। তবে প্লাস্টিক জাতীয় পদার্থ দিয়ে তৈরি ডিমগুলো খেলে মানবদেহের লিভার, কিডনি নষ্টসহ মরণব্যাধি ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। সুত্র: মানবজমিন