কক্সবাজারে একটি ফিনিশ প্লাস্টিক রিসাইক্লিং কোম্পানি করতে আগ্রহী ফিনল্যান্ড। এই কোম্পানির মাধ্যমে কক্সবাজারের ব্যবহৃত প্লাস্টিককে প্লাস্টিক শিটে পরিণত করবে এবং তা পুনর্ব্যবহার করা হবে। যা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আশ্রয়কেন্দ্রে ব্যবহার করা যেতে পারে।
রোববার (৩ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ আগ্রহের কথা জানান ঢাকায় নিযুক্ত ফিনল্যান্ডের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত কিমো লাহদেভির্তা। তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে ছাত্র-নেতৃত্বাধীন গণবিপ্লব, অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার উদ্যোগ, বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং আঞ্চলিক ভূ-রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, রাষ্ট্রদূত ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি তার সরকারের পূর্ণ সমর্থন এবং দেশের সংস্কারে অবদান রাখার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
রাষ্ট্রদূত লাহদেভির্তা বলেন, ফিনল্যান্ড সরকার বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের জন্য এক মিলিয়ন ইউরো এবং আরও এক মিলিয়ন ইউরো সুশীল সমাজের মাধ্যমে দেবে।
ইউনূস ছাত্র বিপ্লব এবং সংস্কার কমিশনের কাজ এবং তার সরকারের কাছ থেকে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার কথা বলেন।
তিনি বলেন, স্বৈরশাসক দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় বাংলাদেশের অর্থনীতি ভেঙে পড়েছিল, তবে দ্রুত এবং কঠোর সংস্কার পদক্ষেপ এরইমধ্যে পরিস্থিতি স্থিতিশীল করতে সহায়তা করেছে।
রিজার্ভ বাড়ছে এবং সরকার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে খরচ না করেই আন্তর্জাতিক অর্থ দেওয়া শুরু করেছে বলে রাষ্ট্রদূতকে জানান প্রধান উপদেষ্টা। তিনি উল্লেখ করেন, আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধির প্রয়াসে সার্ককে পুনরুজ্জীবিত করার একটি পদক্ষেপ নিয়েছেন।
রাষ্ট্রদূত জানান, আরো ফিনিশ ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ নিয়ে আসতে আগ্রহী এবং বিডা কর্তৃক এফডিআই দ্রুত প্রক্রিয়াকরণের আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রদূত তাদের দেশে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ও দক্ষ কর্মী নিয়োগ এবং এআই, সাইবার নিরাপত্তা এবং কোয়ান্টাম কম্পিউটিং খাতে সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ফিনিশ পক্ষের আগ্রহের কথাও জানান।
প্রধান উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূতকে তার দায়িত্ব পালনে বাংলাদেশ সরকারের সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।