ঈদগাঁও উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এক ডজন করাতকল বসিয়ে অবাধে বনের কাঠ চেরাই করা হচ্ছে। এতে ঈদগাঁও এলাকার সংরক্ষিত বনাঞ্চলের গাছ কেটে সাবাড় করছে চোরের দল। বনের গাছ নিধন ছাড়াও প্রাণ প্রকৃতি ধ্বংস হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা।
জানা যায়, সরকারি জমিতে অবৈধ করাতকল বসিয়ে দিনের পর দিন সরকারি বনজ সম্পদ ধ্বংস করা হলেও স্থানীয় বন বিভাগের কর্মীরা নীরব ভূমিকা পালন করে চলেছে। প্রাণ প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষায় ইসলামাবাদ ইউনিয়নের প্রবাসি আজিজুর রহমান জেলা প্রশাসক বরাবর ঈদগাঁও বাজারের বাঁশঘাটা এলাকায় অবৈধ করাতকল উচ্ছেদ করতে আবেদন করেছেন। আজিজুর রহমান জানান, আমি প্রবাসী জীবনযাপন করি।
দেশে আসার পর দেখলাম আমার বাড়ির যাতায়াত পথে বাশঘাটা ব্রিজের পাশে দুটি করাতকল রয়েছে- যা পরিবেশ প্রকৃতি ও শব্দদূষণ হয় বেশি। করাতকল দুটোর মালিক ইসলামাবাদ ইউনিয়নের হুমায়ন কবির ও জিয়াবুল ইসলাম বাবুল। তারা ঈদগাঁও বাজারের মতো এলাকায় অবৈধভাবে করাতকল বসিয়ে ব্যবসা করে যাচ্ছেন। এই আবেদন জেলা প্রশাসন আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কক্সবাজার জেলা কমিটির সভাপতি ও এইচএম এরশাদ ও সাধারণ সম্পাদক কারম উল্লাহ কলিম জানান, এই করাতকলের মাধ্যমে প্রাণ প্রকৃতি নষ্ট হচ্ছে। করাতকল ব্যবসায়ীরা অবৈধভাবে গাছ কাটার ফলে প্রাণী জগতে অনেক প্রভাব পড়ছে। আশা করছি প্রশাসন আইনগত ব্যবস্থা নিবে।
ঈদগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুবল চাকমা জানান, করাতকল বসানোর বিধিমালা রয়েছে। আমার উপজেলায় যদি অবৈধ করাতকল থাকে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কক্সবাজার জেরা প্রশাসক মো, সালাহ উদ্দিন জানান, অবৈধ করাতকল অবশ্যই উচ্ছেদ করা হবে। অবগত হয়েছি এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বনাঞ্চলের ১০ কিলোমিটারের ভেতরে করাতকল স্থাপনের নিয়ম না থাকলেও ৯০ শতাংশ করাতকল স্থাপন করা হয়েছে বনাঞ্চলের আশপাশে।