কক্সবাজার সদর উপজেলার বাঁকখালী নদীর খুরুশকুল উপকূলে বায়ুবিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হয়েছেছবি: প্রথম আলো
কক্সবাজার সদর উপজেলার বাঁকখালী নদীর খুরুশকুল উপকূলে বেসরকারি উদ্যোগে নির্মাণ করা হচ্ছে একটি বায়ুবিদ্যুৎকেন্দ্র। ৬০ মেগাওয়াট উৎপাদনক্ষমতার এ কেন্দ্রে গত বুধবার থেকে পরীক্ষামূলকভাবে প্রায় ৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হবে।
গত বুধবার বিকেলে বায়ুবিদ্যুৎকেন্দ্র পরিদর্শন ও বিদ্যুৎ উৎপাদন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, খনিজ ও জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী। এখানে উৎপাদিত বিদ্যুৎ দিয়ে কক্সবাজারের চাহিদা পূরণ সম্ভব জানিয়ে তৌফিক-ই-ইলাহী সাংবাদিকদের বলেন, সরকার বেসরকারি খাতে বায়ুবিদ্যুৎ উৎপাদনকে উৎসাহিত করছে। দেশের বিদ্যুতের চাহিদার জোগান দিতে সরকার বেসরকারি খাতে আরও বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের সুযোগ দিচ্ছে। খুরুশকুলের এই প্রকল্প চলতি বছরের ডিসেম্বরে পুরোপুরিভাবে (৬০ মেগাওয়াট) চালু হবে। এখন পরীক্ষামূলকভাবে জাতীয় গ্রিডে ৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যুক্ত হচ্ছে।
চীনের অর্থায়নে বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে ইউএস–ডিকে গ্রিন এনার্জি বাংলাদেশ লিমিটেড নামে বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠান। ৯০০ কোটি টাকার এ প্রকল্পের সব যন্ত্রপাতি আনা হয়েছে চীন থেকে। ২০২২ সালের ৩১ মার্চ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
ইউএস–ডিকে গ্রিন এনার্জি বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহিরুল ইসলাম খান বলেন, প্রকল্প এলাকায় বাতাস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ২২টি টারবাইন পর্যায়ক্রমে স্থাপন করা হবে। ইতিমধ্যে ১০টি টারবাইন স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিটি টারবাইন থেকে দৈনিক গড়ে তিন মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। এ হিসাবে ১০টি টারবাইন থেকে উৎপাদিত হচ্ছে ৩০ মেগাওয়াট।
পরীক্ষামূলকভাবে প্রায় ৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়েছে। কক্সবাজার সদর উপজেলার বাঁকখালী নদীর খুরুশকুল উপকূলেছবি: প্রথম আলো
প্রকল্পের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ১২০ মেগাওয়াট পর্যন্ত উৎপাদনক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এ জন্য আরও ২০টি টারবাইন স্থাপন করতে হবে। পরিবেশবান্ধব এ বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্পের টারবাইন স্থাপনের জন্য খুরুশকুলসহ পাশের দুটি ইউনিয়ন পিএমখালী ও চৌফলদণ্ডীতে জমি নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী (বিতরণ) আবদুল কাদের গণি বলেন, জেলায় দৈনিক বিদ্যুতের চাহিদা ১৫০ মেগাওয়াট। খুরুশকুলের বায়ুবিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে উৎপাদিত ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হলে লো ভোল্টেজ সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি লোডশেডিং কমে আসবে। সুত্র: প্রথম আলো