মহেশখালীর মাতারবাড়ির কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প ও খুরুশকুল বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে প্রতিদিন গড়ে ৭ শত থেকে সাড়ে ৭ শত মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। যা প্রতিদিন যুক্ত হচ্ছে জাতীয় গ্রীডে। এর বিপরীতে কক্সবাজার জেলায় প্রতিদিন গড়ে চাহিদা ২০০ মেগাওয়াট। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) কক্সবাজার সূত্র বলছে এখন চাহিদার পুরোটাই বরাদ্দ পাওয়া যাচ্ছে। এটা বিদ্যুৎ উৎপাদনের সুবিধা বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
কিন্তু জেলাবাসি বলছেন, তাহলে লোডশেডিং এর কারণ কি? প্রতিদিন গড়ে ৩-৪ বার লোডশেডিং এর কবলে পড়তে হচ্ছে কেন?
সোমবার দুপুরে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) কক্সবাজার কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল কাদের গণি জানান, কক্সবাজার জেলায় প্রতিদিন গড়ে চাহিদা ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে পিডিবির অধিনে কক্সবাজার শহরের চাহিদা ৪৫ মেগাওয়াট আর পল্লী বিদ্যুতের চাহিদা ১৫৫ মেগাওয়াট।
তিনি বলেন, গত সপ্তাহে চাহিদার কিছু বিদ্যুৎ সংকট ছিল বা বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। এটা দূর হয়েছে। এখন পুরোটাই বরাদ্দ পাওয়া যাচ্ছে।
কিন্তু তারপরও লোডশেডিং এর কারণ কি? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, লাইনের জটিলতার বা বিভ্রাটের কারণে মেরামতের জন্য বা কারিগরি সমস্যাগত কারণে কিছু কিছু এলাকায় লাইন বন্ধ করতে হয়। এটা দ্রুত সময়ের মধ্যে উত্তরণ সম্ভব হবে এবং জেলাবাসি তাদের কাংখিত বিদ্যুৎ পাবেন।
সোমবার দুপুরে কক্সবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) প্রকৌশলী গোলাম আহমদ জানান, সোমবার কোন প্রকার লোডশেডিং নেই। কিছুদিন আগেও যে সংকট ছিল তা কেটে গেছে। এখন চাহিদা দিনে ১১৯-১২০ মেগাওয়াট এবং রাতে ১৪০-১৪৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে।
মহেশখালী মাতারবাড়ির ১২০০ মেগাওয়াটের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে প্রতিদিন গড়ে ৬৩০ থেকে সাড়ে ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। এ ছাড়াও কক্সবাজারের খুরুশকুল বায়ু বিদ্যুৎ থেকে ৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। যা জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে। এর সুফল কক্সবাজার জেলাবাসি পাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট দুই কর্মকর্তা। সুত্র: দৈনিক কক্সবাজার
পাঠকের মতামত