কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা ও জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার ঘটনা অনুসন্ধান করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। শুরুতে অভিযুক্ত ২৭ রোহিঙ্গা ভোটারের নাগরিকত্ব সনদ, জন্মসনদ এবং পুলিশ ভেরিফিকেশন প্রতিবেদনসহ গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য চেয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে চিঠি দেয় দুদক। তারই পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৭ সেপ্টেম্বর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এস এম শাহাদাত হোসেন তথ্যগুলো দুদকের সংশ্লিষ্ট অনুসন্ধান কর্মকর্তার কাছে পাঠান।
দুদকের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা অংটি চৌধুরী সমকালকে বলেন, রোহিঙ্গা ভোটার নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছি। বেশ কিছু ভোটারের তথ্য সংগ্রহ করে তা যাচাই-বাছাই করছি। রোহিঙ্গাদের ভোটার হওয়ায় সহযোগিতার অভিযোগে সদর উপজেলার ঈদগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়। পর্যায়ক্রমে প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
ঈদগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছৈয়দ আলম বলেন, তলব করায় মঙ্গলবার চট্টগ্রাম দুদক কার্যালয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু সংশ্লিষ্ট অনুসন্ধান কর্মকর্তা না থাকায় জিজ্ঞাসাবাদ করেনি।
রোহিঙ্গা ভোটার নিয়ে দুদকের অনুসন্ধানকে স্বাগত জানিয়ে কক্সবাজার সিভিল সোসাইটির সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী খোকা বলেন, যাদের যাচাই-বাছাইয়ের পর রোহিঙ্গারা ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, তাদের বাদ দিয়ে নিরপেক্ষ সরকারি কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে কমিটি করে বিষয়টি অনুসন্ধান করলে ভালো হতো। তা না হলে তাদের অনুসন্ধান প্রতিবেদনটি প্রশ্নবিদ্ধ হবে। সোর্স : সমকাল