কক্সবাজারের টেকনাফে জামায়াত নেতা মো. ইসমাঈলকে প্রধান আসামী করে ১৫০ কে অজ্ঞাত আসামী করে মামলা দায়ের করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর। মামলায় সরকারী কাজে বাঁধা, কর্মকর্তাদের মারধর ও অফিস ভাংচুরের অভিযোগ আনা হয়েছে। এই ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
গতকাল মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) টেকনাফ মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর টেকনাফ বিশেষ জোন। মামলার এজাহার মতে, গত ৯ ডিসেম্বর দুপুরে পৌরসভার কুলালপাড়া এলাকায় চিহ্নিত মাদক কারবারী আলমগীরের বসত ঘরে অভিযান চালিয়ে ১লাখ ১০ হাজার পিস ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করে ডিএনসি। এই ঘটনায় আলমগীরকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়। এই অভিযানের কিছুক্ষন পর জামায়েত নেতা ইসমাঈলের বাড়িতে আরো কিছু ইয়াবা মজুদ আছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই দিন সন্ধ্যায় অভিযানে যায় ডিএনসি কর্মকর্তারা। এসময় ঈসমাঈল অভিযানে বাঁধা প্রদান করেন এবং লোকজন জড়ো করে অভিযানিক টিমের উপর হামলা চালায়। এসময় ডিএনসির ৩ সদস্য আহত হয়। পরে তার অনুসারীরা সংঘবদ্ধ হয়ে ডিএনসি অফিসে ভাংচুর চালায়।
ঘটনার দিন অভিযুক্ত জামায়াত নেতা ইসমাঈল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক ভিডিও বার্তায় ডিএনসি পরিকল্পিত ভাবে তাকে মাদক দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করে বলে অভিযোগ তুলেন। মামলার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে বিষয়টি তিনি আইনী ভাবে মোকাবেলা করবেন বলেও জানান। ডিএনসি টেকনাফ বিশেষ জোনের সহকারী পরিচালক সিফাত তাসনিম বলেন, ইসমাইলকে প্রধান আসামি করে ১৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভিডিও ও সিসিটিভি ফুটেজ দেখে বাকিদের সনাক্ত করা হবে। এঘটনা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে জানানো হয়েছে। তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান ডিএনসি’র এই কর্মকর্তা।
পাঠকের মতামত