
কক্সবাজার শহরের সার্কিট হাউস সড়কে মার্কিন নারীকে শ্লীলতাহানির ঘটনায় করা মামলার তদন্ত শেষ করে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেছে পুলিশ।
বুধবার বিকেলে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন কক্সবাজার সদর মডেল থানার পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আজিজুর রহমান।
কক্সবাজারের নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট তাওহীদুল আনোয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, একজন বিদেশি নাগরিককে নিয়ে ঘটনা ঘটায় এটি অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে দেখা হয়েছে। তবুও ঘটনার সাথে সাথেই আসামি গ্রেপ্তার থেকে শুরু করে অতিস্বল্প সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষে পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো ইলিয়াস খান জানান, সোমবার (১০ মার্চ) সকালে সার্কিট হাউস এলাকায় মার্কিন নারীর শ্লীলতাহানির ঘটনার ৬ ঘণ্টার মধ্যে ঘটনায় জড়িত যুবক তারেকুল ইসলাম ওরফে ছুইল্লা তারেককে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পরপরই তিনি পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে অপরাধ স্বীকার করে। পরদিন মঙ্গলবার (১১ মার্চ) আসামি
তারেকুলকে আদালতে হাজির করা হলে ম্যাজিস্টেটের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
তিনি সাংবাদিকদের জানান, মামলাটির তদন্তকারি কর্মকর্তা হিসাবে তদন্তকাজ অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে নেন। এরপর তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ মামলার বাদী মার্কিন নারী এলিজাবেথ হেলটন কিম্মেল ও সাথে থাকা নেপালী নারীর সাক্ষাৎকারসহ আরও ৫ স্বাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।
বুধবারই কক্সবাজারের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ১০ মার্চ সকাল ১০টার দিকে শহরের সার্কিট হাউস সড়কে হাঁটার সময় মার্কিন নারীকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরেন তারিকুল ইসলাম নামের এক বখাটে যুবক। এ সময় হইচই-চিৎকার শুরু হলে তারিকুল পালিয়ে যায়। ওইদিন মার্কিন নারী বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর থানায় নারী ও শিশু নিযার্তনে আইনে মামলা করেন।
শ্লীলতাহানির শিকার ওই মার্কিন নারীর স্বামী ২০১৮ সালের ২ জানুয়ারি থেকে জাতিসংঘের অধীনে একটি আন্তর্জাতিক সংস্থায় কর্মরত। সেই সুবাদে শহরের একটি ভাড়াবাসায় স্বামীর সঙ্গে বসবাস করেন ওই নারী।
পাঠকের মতামত