উখিয়া নিউজ ডটকম::
কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের রামুর চেইন্দাস্থ বসুন্ধরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৫ হাজার পিস ইয়াবাসহ এক ব্যক্তিকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) শাখার পুলিশ। সোমবার দুপুরে টেকনাফ সড়কের স্পেশাল মিনি সার্ভিসের একটি বাস থেকে এসব ইয়াবা জব্দ করা হয়। এসময় চালক পালিয়ে গেলেও গাড়িটি জব্দ করে প্রশাসনের তরফ থেকে বিলম্ব প্রাপ্ত তথ্যে নিশ্চিত করা হয়েছে।আটক যুবকের নাম মিজানুর রহমান (২০)। তিনি উখিয়ার বালুখালীর ছরার থাইংখালীর আবদুর রাজ্জাকের ছেলে ও জব্দ করা গাড়িটির হেলপার হিসেবে দায়িত্বপালন করছিলেন।কক্সবাজার জেলা ডিবির ইনচার্জ মনিরুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোয়েন্দা শাখার দ্বিতীয় টিমের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক (নি.) ইয়াসির আরাফাতের নেতৃতে এসআই আবুল কালাম আজাদ, এসআই সুমন মিয়া, এএসআই গোলাম মোস্তফা, নাহিদ হোসেন, কনস্টেবল মোস্তফা আজল, আল আমিন, শরীফুল ইসলাম, নারী কনস্টেবল মিনু আক্তার, সুমাইয়া সুলতানাসহ রামুর চেইন্দাস্থ টেকনাফ রোড়ের পূর্বপাশের বসুন্ধরা পার্ক এলাকায় অবস্থান নেয়। সোয়া একটায় ঐ রোড়ে চলাচলরত সরাসরি স্পেশাল সার্ভিস ইয়াছিন পরিবহন-২ (চট্টমোট্রা-জ-১১-১৮২২) গাড়ীটিকে থামাতে সিগন্যাল দেয়। গাড়ীটি সিগন্যাল অমান্য করে প্রায় ২শত গজ সামনে গিয়ে থামিয়ে চালক ও হেলপার গাড়ী থেকে নেমে দৌড় মারে। চালক পাহাড়ের ভেতর ঢুকে গেলেও ধাওয়া করে হেলপারকে আটক করা সম্ভব হয়। তার দেখানো মতে বাসের চালকের সিট বরাবর উপরে সিলিং বক্সের ভিতর বিশেষ ভাবে রাখা ১৫ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়া যায়। এ ঘটনায় তাকে আটক ও বাসটিও জব্দ করা হয়েছে।মিজান আরো জানায়, জব্দকৃত গাড়ীর মালিক টেকনাফ কানজর পাড়ার মোহাম্মদ আলম কোম্পানী (৪০) ও গাড়ীর চালক রামু চা বাগান এলাকার সুনয়ন বড়ুয়া (২২) এসব ইয়াবা ট্যাবলেট টেকনাফ বাস টার্মিনাল এলাকার মো. ইউনুস(২৮)’র কাছ থেকে ক্রয় করে কক্সবাজার আনছিল। এতে বোঝা যায় সবার সাথে সুপারভাইজারও যোগসাজশে ইয়াবাগুলো পাচার করছিল।
এ ঘটনায় আটক ও অন্য সংশ্লিষ্টদের আসামী করে ১৯৯০ সনের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন এর ১৯ (১) টেবিল ৯(খ)/২১/২৫ ধারায় রামু থানায় মামলা করেছেন এসআই আবুল কালাম আজাদ।