ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ২২/০৯/২০২৩ ১০:৪৫ এএম , আপডেট: ২২/০৯/২০২৩ ১২:৩৮ পিএম

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন ও যৌতুক চাওয়ার অভিযোগে মামলা হয়েছে। ১৬ জুলাই ২০২৩ইং বান্দরবান-চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেছেন এক নারী কর্মী।

মামলায় কক্সবাজারে পূর্ব টেকপাড়ার কালুরদোকান এলাকার বাসিন্দা মাস্টার সৈয়দ আহমদের পুত্র একটি এনজিও সংস্থার উখিয়া ১৮ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সাইট-ম্যানেজমেন্ট প্রজেক্টে কর্মরত আহমদ ইউসুফ জামিল(৩২) আসামি করা হয়েছে।

বাদীর আইনজীবী দীপঙ্কর দাশ জানিয়েছেন, নির্যাতনের শিকার ওই নারী একই আইএনজিও সংস্থার অধিনস্থ এনরুট ইন্টারন্যাশনালে-এ একই প্রকল্পে কর্মরত। একই সাথে চাকরির সুবাদে (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) ওই নারী এনজিও কর্মীকে ইউসুফ জামিল বিভিন্ন সময়ে প্রেম নিবেদন করতে থাকে এক পর্যায়ে দু’জনের সম্মতিতে তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।

পরবর্তীতে ২৬মে ২০২২ইং ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক ১৫ লক্ষ টাকা দেন মোহরে নারী কর্মীর সাথে আহমদ ইউসুফ জামিলের বিয়ে হয়। বিয়ের পর অর্থ্যাৎ ৩১মে স্বামীর অধিকারে ওই নারী কর্মীকে চাকরি থেকে অব্যাহতি নিতে বাধ্য করে স্বামী ইউসুফ জামিল। বিয়ের কিছুদিন পর স্ত্রীকে স্বামী অর্থ্যাৎ ইউসুফ জামিলের নিজ গৃহে তুলে নেওয়ার কথা থাকলেও সুচতুর স্বামী বিভিন্ন তাল-বাহনা করতে থাকে এক পর্যায়ে বাড়ি নির্মাণের কথা বলে স্ত্রীর কাছ থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা আদায় করেন। পরবর্তীতে ঘরে তুলে নিতে আরো ১০ লক্ষ টাকা দাবী করে এবং দাবীকৃত টাকা না দিলে অন্য নারীকে বিয়ে করবে বলে হুমকি প্রদান করে এনজিও কর্মকর্তা ইউচুফ জামিল। এসব বিষয়ে নির্যাতনের শিকার নারী এনজিও কর্মী সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্টে একাধিকবার অভিযোগ করলেও তারা কোন ব্যবস্থা নেয়নি বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী।

পরে উপায়ন্তু না পেয়ে এ বিষয়ে নারী কর্মী বাদি হয়ে বান্দরবান চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগ দায়ের করলে আসামি এনজিও সংস্থা কর্মকর্তা ইউসুফ জামিলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।

১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ইং কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে যৌতুক দাবীর দায়ে অভিযুক্ত ইউসুফ জামিলকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে কক্সবাজার কারগারে প্রেরণ করে।

পাঠকের মতামত