আগামী জুনের মধ্যে দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন চালু হবে। তখন সারা দেশ থেকে ট্রেন সরাসরি কক্সবাজারে যাবে। আজ বৃহস্পতিবার এমনটাই জানালেন রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন। এদিন দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত নতুন রেল লাইন নির্মাণ প্রকল্প পরিদর্শনের সময় কক্সবাজারের আইকনিক স্টেশনে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, এক সময় এটি স্বপ্ন ছিল এখন সেটা বাস্তবায়নের পথে। কক্সবাজারবাসী যেমন অপেক্ষায় রয়েছে তেমনি সারা দেশের মানুষ ট্রেনে করে পর্যটন নগরী কক্সবাজার আসার জন্য অপেক্ষায় রয়েছে। কক্সবাজারে চলাচলের জন্য টুরিস্ট কোচের মতো উন্নত মানের কোচ দ্বারা ট্রেন চালানো হবে। এজন্য নতুন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় ৫৪টি কোচ কেনা হবে যেগুলোর জানালা সুপ্রশস্ত। এতে মানুষ অনায়াসে প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখার সুযোগ পাবে।
কাজের অবগতি সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে মন্ত্রী বলেন, প্রায় ৮০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ইতোমধ্যে ৬০ কিলোমিটার রেললাইন সম্পন্ন হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী আগামী বছর জুনের মধ্যে কাজ সম্পন্ন হবে।
মন্ত্রী এ সময় নির্মাণাধীন আইকনিক স্টেশন বিল্ডিংয়ের বিভিন্ন তলা ঘুরে দেখেন। আগামী এপ্রিল মাসের মধ্যে স্টেশন বিল্ডিংয়ের নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে বলে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান। পরে তিনি প্রায় ৩০ কিলোমিটার নতুন লাইনের পরিদর্শন করেন।
দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত মোট এক শ কিলোমিটার সিঙ্গেল লাইন ডুয়েল গেজ রেলপথ নির্মিত হচ্ছে। পুরো প্রকল্পে ৩৯টি মেজর ব্রিজ এবং ২৪২টি কালভার্ট রয়েছে। হাতি চলাচলের জন্য আন্ডারপাস ও ওভারপাস নির্মাণ করা হচ্ছে। রেল লাইনটা নির্মিত হলে ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ের সাথে সংযোগ স্থাপিত হবে। পর্যটন শহর কক্সবাজারকে রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হবে। পর্যটকদের জন্য নিরাপদ আরামদায়ক, সাশ্রয়ী পরিবেশবান্ধব যোগাযোগ ব্যবস্থার নিশ্চিত করা হবে। সহজে ও কম খরচে মাছ, লবণ, রাবারের কাঁচামাল এবং বনজ ও কৃষিজ দ্রব্যাদি পরিবহন করা সম্ভব হবে।
পরিদর্শনের সময় কক্সবাজারের সংসদ সদস্য সাইমুম সরোয়ার কমল, রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অবকাঠামো) কামরুল আহসান, বাংলাদেশ রেলওয়ের (পূর্বাঞ্চল) মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর হোসেনসহ প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পাঠকের মতামত