প্রকাশিত: ০৮/০৩/২০১৭ ৯:১৯ এএম

উখিয়া নিউজ ডেস্ক::

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে সম্প্রতি পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের তালিকাভুক্তির কাজ অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে ৪০ শতাংশ রোহিঙ্গাকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি পরিসংখ্যান ব্যুরোর ২০০টি দল রোহিঙ্গাশুমারির কাজ শুরু করে। প্রতিটি দলে আছেন একজন সুপারভাইজার ও একজন তথ্য সংগ্রহকারী।
পরিসংখ্যান ব্যুরোর কক্সবাজারের উপপরিচালক মো. ওয়াহিদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, গত সাত দিনে টেকনাফ, উখিয়া, সদর, রামু ও চকরিয়া উপজেলায় অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের মধ্যে ৪০ শতাংশের গণনা শেষ হয়েছে। ১০ মার্চের মধ্যে গণনার কাজ শেষ হবে। তিনি বলেন, বৃষ্টির কারণে গতকাল শুমারির কাজে কিছুটা ব্যাঘাত ঘটে। এই কয়েক দিনে কতজন রোহিঙ্গাকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে, তা প্রকাশ করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) তাঁদের জানিয়েছে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে সদ্য পালিয়ে আসা রোহিঙ্গার সংখ্যা প্রায় ৭৩ হাজার। তারা জেলার পাঁচ উপজেলায় অবস্থান করছে। এর ৯০ শতাংশ অবস্থান করছে উখিয়া ও টেকনাফের তিনটি পৃথক অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা শিবিরে।
গতকাল সোমবার উখিয়ার কুতুপালংয়ে অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা শিবিরে শুমারির কাজ করেন অন্তত ৪০ জন তথ্য সংগ্রহকারী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুজন তথ্য সংগ্রহকারী বলেন, দিনে তাঁরা ৬০ থেকে ৭০ জন রোহিঙ্গার নাম-ঠিকানা নির্দিষ্ট ফরমে তালিকাভুক্ত করছেন। সঙ্গে রোহিঙ্গাদের ছবিও তোলা হচ্ছে। এরপর তাদের শুমারিতে অন্তর্ভুক্তির স্লিপ দেওয়া হচ্ছে। পরে ওই স্লিপ জমা দিলে রোহিঙ্গারা পরিচয়পত্র পাবে।
পরিসংখ্যান ব্যুরোর উপপরিচালক ওয়াহিদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, রোহিঙ্গাশুমারির পর সব তথ্য আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) কাছে জমা দেওয়া হবে। এরপর আইওএম তালিকাভুক্ত রোহিঙ্গাদের পরিচয়পত্র দেবে।
শিবিরের গণনাকারী হুমায়রা বেগম বলেন, তিনি প্রতিদিন ৫০ জনের বেশি রোহিঙ্গার নাম-ঠিকানা তালিকাভুক্ত করেন। তিনি বলেন, ঠেঙ্গারচর প্রসঙ্গ এলে অনেক রোহিঙ্গা নাম-ঠিকানা দিতে রাজি হন না। এতে কাজে বিলম্ব হচ্ছে।
গতকাল টেকনাফ ও উখিয়ার শুমারি কার্যক্রম পরিদর্শন করেন পরিসংখ্যান ব্যুরোর উপমহাপরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব মো. বাইতুল আমীন ভূঁইয়া। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রোহিঙ্গাশুমারি প্রকল্প পরিচালক মো. আলমগীর হোসেন।
পরিসংখ্যান ব্যুরোর উপমহাপরিচালক মো. বাইতুল আমীন ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, সুনির্দিষ্ট তথ্য জানার জন্য এই শুমারি করা হচ্ছে। ঠেঙ্গারচরে স্থানান্তরের সঙ্গে রোহিঙ্গাশুমারির কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি বলেন, ২০১৬ সালের ২ জুন থেকে ১৭ জুন পর্যন্ত রোহিঙ্গাশুমারি করা হয়েছিল। ওই সময় যারা বাদ পড়েছিল, এবারের শুমারিতে তাদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। সুত্র : প্রথম আলো

পাঠকের মতামত

অভিভাবকহীন ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা’র সীমান্তঘেষা ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ’র নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি’দের মেয়াদ ৫ বছর পূর্ণ হয়েছে গত নভেম্বর ...