ডেস্ক রিপোর্ট : বাংলাদেশে বসবাসকারী অবৈধ রোহিঙ্গাদের সংখ্যা নির্ধারণে সারাদেশের মতো কক্সবাজারেও রোহিঙ্গা শুমারি চলছে। শুমারির তথ্য সংগ্রহের জন্য কক্সবাজারে কাজ করছে ৮৮৬টি দল।
গত ২ জুন থেকে শুরু হওয়া এ শুমারি চলবে ১০ জুন পর্যন্ত। ফেব্রুয়ারি মাসে করা খানা তালিকার ভিত্তিতে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে এ শুমারি করা হচ্ছে।
কক্সবাজারের পাশাপাশি বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি, চট্টগ্রাম ও পটুয়াখালিতেও প্রাথমিকভাবে এ শুমারি শুরু করেছে পরিসংখ্যান ব্যুরো।
পরিসংখ্যান ব্যুরোর কক্সবাজার কার্যালয়ের সূত্র মতে, উখিয়া উপজেলায় ২১৫টি, টেকনাফে ৩২৫টি, রামুতে ৬৮টি, চকরিয়ায় ৫২টি, পেকুয়ায় ৪টি, মহেশখালীতে ২৯টি, কুতুবদিয়ায় ২টি, কক্সবাজার সদরে ১৯১টি দল তথ্য সংগ্রহের কাজ করছে।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে করা খানা তালিকায় দেশের ছয় জেলায় প্রায় ৫০ হাজার খানায় রোহিঙ্গা থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। এখন ওই সব খানা বা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ব্যক্তির তথ্য সংগ্রহ শুরু হয়েছে।
বলা হয়ে থাকে, রোহিঙ্গারা পৃথিবীর সবচেয়ে নির্যাতিত জনগোষ্ঠী। নিজ দেশ মিয়ানমারে যাদের নাগরিকত্ব নেই। অস্বীকৃতি, জাতিগত দাঙ্গা আর রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের শিকার ২ থেকে ৫ লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম আশ্রয় নিয়েছেন বাংলাদেশে। কিন্তু এসব রোহিঙ্গাদের সঠিক পরিসংখ্যান কেউ নিশ্চিত করতে পারে না।
যার প্রেক্ষিতে পরিসংখ্যান ব্যুরোর অধীনে গত ফেব্রুয়ারি মাসে তৈরি করা হয় খানা তালিকা। যে তালিকায় রোহিঙ্গা অবস্থানরত বাড়িগুলো শনাক্ত করা হয়। শনাক্ত হওয়া এসব বাড়িতে এখন তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে।
রোহিঙ্গা শুমারি প্রকল্পের পরিসংখ্যান ব্যুরোর পরিচালক মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন জানান, শুমারির মাধ্যমে সঠিক তথ্য বেরিয়ে আসবে। শুমারিতে ছবিসহ প্রায় ৪৬ ধরনের তথ্য নেয়া হচ্ছে। এর মধ্যে মিয়ানমারের ঠিকানা, সেখান থেকে আসার কারণ এবং বাংলাদেশে অবস্থানের তথ্য গুরুত্বপূর্ণ। যাদের নাম শুমারিতে অন্তর্ভুক্ত হবে, তাদেকে ছবিযুক্ত পরিচয়পত্র দেয়া হবে। যা দিয়ে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা পাওয়ার সুযোগ তৈরি হবে।
এই শুমারির মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের বিষয়ে একটি নির্ভরযোগ্য তথ্য ভাণ্ডার তৈরি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। বাংলানিউজ২৪
পাঠকের মতামত