
কক্সবাজার শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ডস্থ সমিতির পাড়ায় বিমানবাহিনীর সাথে এলাকাবাসীর সংঘর্ষ ও গুলিবিদ্ধ হয়ে শিহাব কবির নাহিদ নামের স্থানীয় এক যুবক নিহতের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি দুটি মামলা রুজু করা হয়েছে। ৩০০ এলাকাবাসীকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছে বিমানবাহিনী। অন্যদিকে হত্যার অভিযোগ এনে অপর মামলাটি দায়ের করেছেন নিহত শিহাব কবির নাহিদের পিতা পিটিআইর সাবেক সুপারিনটেনডেন্ট মো. নাসির উদ্দীন। তিনি গত ৪ মার্চ রাতে মামলাটি রুজু করেন। এর আগে ২৭ ফেব্রুয়ারি বিমানবাহিনীর পক্ষে সার্জেন্ট জিয়াউল হক বাদি হয়ে প্রথম মামলাটি করেন।
কঙবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইলিয়াছ খান মামলা রুজুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিমানবাহিনীর মামলায় স্থানীয় বাসিন্দা রাহাত ইকবাল ওরফে ইকবাল বাহার ও এজাবত উল্লাহর নাম উল্লেখ করে ২৫০/৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। অন্যদিকে শিক্ষক মো. নাসির উদ্দীনের করা মামলায় নৌবাহিনীর অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে।
বিমানবাহিনীর পক্ষে দায়ের করা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামি ও তাদের অজ্ঞাতনামা সহযোগীরা পরিকল্পিত ও সংঘবদ্ধ হয়ে নাশকতা ও রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি বিনষ্টের উদ্দেশ্যে বিমানবাহিনী ঘাঁটির স্পর্শকাতর স্থানগুলোতে ইট–পাটকেল ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা করে। এতে বিমানবাহিনীর চারজন সদস্য আহত হয়। এছাড়া বিমানবাহিনীর বিভিন্ন যানবাহন ও স্থাপনা ভাংচুর এবং লুটপাট করা হয়। এতে আনুমানিক ৬৯ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
অন্যদিকে হত্যা মামলার এজাহারে বাদি মো. নাসির উদ্দীন বলেছেন, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি জনৈক জাহেদুল ইসলামকে আটকের বিষয়কে কেন্দ্র করে বিমানবাহিনী ও এলাকাবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়। এসময় বাসা থেকে বের হয়ে উৎসুক জনতার সাথে ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করছিলো শিহাব কবির নাহিদ। আকস্মিক গুলি এসে তার মাথায় লাগলে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়, সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। জনৈক বিমানবাহিনীর সদস্যের গুলিতে এই যুবক নিহত হয়েছে বলে এজাহারে বাদি দাবি করেছেন।
সার্বিক প্রসঙ্গে কঙবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইলিয়াছ খান বলেন, দুই পক্ষের দুটি মামলা রুজু করা হয়েছে। দুই মামলায় এখন পর্যন্ত কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি
পাঠকের মতামত