উখিয়া নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩/০৭/২০২৪ ১১:৩১ এএম

প্রায় ২০ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় বাদীর স্বাক্ষর ও নথি জালিয়াতি করে আসামির নাম বাদ দেওয়ার অভিযোগে কক্সবাজারের সাবেক জেলা প্রশাসকসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দীর্ঘ তদন্ত শেষে সোমবার কক্সবাজার সিনিয়র স্পেশাল জজ মুনসী আবদুল মজিদের আদালতে এ অভিযোগপত্র জমা দেন দুদকের কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রিয়াজ উদ্দিন। অভিযোগপত্রে কক্সবাজারের সাবেক জেলা ও দায়রা জজ সাদিকুল ইসলাম তালুকদারকেও আসামি করা হয়েছে।

অভিযোগপত্রে আরও যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেনু কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী মোস্তাক আহমেদ, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নাজির স্বপন কান্তি পাল এবং জেলা ও দায়রা জজ আদালতের স্টেনোগ্রাফার মো. জাফর আহম্মদ।

অভিযোগপত্র জমা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের নাজির বেদারুল আলম।

২০১৪ সালে কক্সবাজারের তৎকালীন জেলা প্রশাসক রুহুল আমিনসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন মহেশখালীর বাসিন্দা এক ব্যক্তি। মহেশখালীর মাতারবাড়ী কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য অধিগ্রহণকৃত চিংড়ি জমির মালিকদের ক্ষতিপূরণের ২৩ কোটি টাকা প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগে মামলাটি করা হয়। মামলার পরপরই এক নম্বর আসামি জেলা প্রশাসকের নাম জালিয়াতির মাধ্যমে বাদ দিয়ে নথি দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে পাঠান সাবেক জেলা ও দায়রা জজ সাদিকুল ইসলাম। এ কারণে অভিযোগপত্রে সাদিকুলসহ অন্য চারজনকেও আসামি করা হয়েছে।

আদালত ও দুদক সূত্র জানায়, কক্সবাজারের মাতারবাড়ীতে কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের আওতায় অধিগ্রহণ করা জমির চিংড়ি, ঘরবাড়িসহ অবকাঠামোর বিপরীতে ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ করা হয় ২৩৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে ২৫টি অস্তিত্বহীন চিংড়ি ঘের দেখিয়ে ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ করা হয় ৪৬ কোটি টাকা। এ থেকে নানা কৌশলে ১৯ কোটি ৮২ লাখ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা হয়।

এ ঘটনায় ২০১৪ সালে মাতারবাড়ীর ব্যবসায়ী এ কে এম কায়সারুল ইসলাম চৌধুরী বাদী হয়ে মামলা করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য দুদককে নির্দেশ দেন। দুদক দীর্ঘ তদন্ত শেষে প্রায় ২০ কোটি টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পায়। পরে আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে জেলা প্রশাসক রুহুল আমিনকে কারাগারে পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি জামিনে মুক্ত রয়েছেন।

পাঠকের মতামত

বান্দরবানে বেনজির আহমেদের সম্পত্তি তত্ত্বাবধানে নিল জেলা প্রশাসন

বান্দরবানের সদর উপজেলার সুয়ালক ইউনিয়নের মাঝেরপাড়া এলাকায় পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজির আহমেদের প্রায় ২০ কোটি ...