কক্সবাজারে স্কুল শিক্ষিকাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান আসামী বেদার মিয়াসহ তিনজনকে আটক করেছে র্যাব।
মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) রাতে র্যাব-১৫ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। তবে বেদার ছাড়া আটক হওয়া অন্য আসামী কারা এবং তাদের কখন আটক করা হয়েছে এসব তথ্য জানানো হয়নি।
এই বিষয়ে বুধবার (২৪ আগষ্ট) বেলা ১১ টার দিকে র্যাব-১৫ এর সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানানো হয়।
গত ১৯ আগস্ট সকাল ৭ টার দিকে কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজায় ভাগ্নির মেহেদী অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন এক স্কুলশিক্ষিকা। পরে সোমবার রাত ১২ টার দিকে এই ঘটনায় মামলা নেয় পুলিশ। ওই মামলায় সদর উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়নের ছনখোলা ইউনূছঘোনা এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে বেদার মিয়া (২৮) নামে একজন সহ অজ্ঞাত আরো তিনজনকে আসামী করা হয়।
ভুক্তভোগী শিক্ষিকা তার এজাহারে উল্লেখ্য করেন, গেল ১৮ আগস্ট রাতে কক্সবাজার সদরের পিএমখালীর মালি পাড়া থেকে ভাগ্নি সম্পর্কের একজনের মেহেদী অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। সেখানে কথা হয় বেদার মিয়ার সাথে। কিছুক্ষণ কথাও বলেন। পরদিন ১৯ আগস্ট সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ওই স্বজনের বাড়ি থেকে ইজিবাইক (টমটম) যোগে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে ঝিলংজা ইউনিয়নের বাংলাবাজার ব্রীজ নামক এলাকায় পৌছালে গতিরোধ করে বেদার ও তার সহযোগীরা। পরে ওই নারী শিক্ষিকাকে টেনে তাদের ইজিবাইকে তুলে নেয়।
তারপর দেশীয় অস্ত্রের ভয়-ভীতি দেখিয়ে ওই ইউনিয়নের চান্দের পাড়ার একটি নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে পালাক্রমে বেদারসহ তিনজন ধর্ষণ করে বলে এজাহারে উল্লেখ করেন ওই শিক্ষিকা। তখন তিনি চিৎকার ও কান্নাকাটি শুরু করলে দূর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।