কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান বিষয়টি সবার জন্য লজ্জার ও ভয়ের মন্তব্য করে বলেছেন, স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা স্কুলে যাওয়ার নামে আবাসিক হোটেলে গিয়ে উঠে। স্কুল ব্যাগে বইয়ের জায়গায় স্কুল ড্রেস নিয়ে হোটেলে উঠে। এটি উৎকন্ঠার। এজন্য হোটেল মোটেল মালিককে কক্ষ ভাড়া দেয়ার সময় সতর্ক থাকতে হবে।
রবিবার বিকেলে জেলা প্রশাসনের সাথে পর্যটন সংশ্লিষ্টদের সাথে মতবিনিময়কালে এই উদ্বেগের কথা জানিয়ে তিনি আরো বলেন, কক্সবাজারের হোটেল-মোটেল জোনের কটেজগুলোতে ইয়াবার রমরমা ব্যবসা হচ্ছে। হাত পাতলেই মিলছে মাদক। হোটেল-মোটেল জোনের কটেজগুলো এখন মাদকের আখড়ায় পরিণত হয়েছে।
সভায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান মাদকের ছড়াছড়িকে পর্যটন শিল্পের জন্য অশনি সংকেত জানিয়ে বলেন, বিষয়গুলো নিয়ে হোটেল-মোটেলের মালিক এবং কর্মকর্তাদের বসে সমাধান করতে হবে। প্রশাসন আইন প্রয়োগ করলে পর্যটক এবং ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত হবেন।
এদিকে সভায় কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউজ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সেলিম নেওয়াজ বলেন, অবৈধ ব্যবসা করে এমন হোটেল-মোটেলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিলে বিষয়টিকে স্বাগত জানানো হবে।
হোটেল-মোটেল জোনে শৃঙ্খলা ফেরাতে জোরালো অভিযান চালানো হবে জানিয়ে জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, কক্সবাজারে বৈধ ব্যবসায় করতে হবে, অবৈধ ব্যবসা করার কোন সুযোগ নাই। সুত্র: দৈনিক কক্সবাজার
পাঠকের মতামত