কক্সবাজারে শুধু ফুটবলের জন্য একটি স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হবে। নকশার প্রাথমিক অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বাফুফের সঙ্গে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের বৈঠক শেষে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। তাছাড়া ঢাকার আশেপাশে ফুটবলের জন্য একটি স্টেডিয়াম নির্মাণের ব্যাপারে কাজ করবে সরকার বলেও জানান তিনি।
স্বাধীনতার অর্ধশতকে উন্নয়নের রোল মডেল বাংলাদেশ। নিজ অর্থে পদ্মা সেতু তৈরি করা দেশটি অনুকরণীয় অন্যদের কাছে। ক্রীড়াঙ্গন দেশের সম্মান উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে বিশ্ব মঞ্চে। কিন্তু বৈশ্বিক খেলা ফুটবলে একেবারেই পিছিয়ে লাল-সবুজের দেশটি।
অবশ্য পিছিয়ে থাকার পেছনে রয়েছে নানা প্রতিবন্ধকতা। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে এসেও নেই ফুটবলের জন্য নির্দিষ্ট একটা স্টেডিয়াম। তবে সেই আক্ষেপ হয়তো ঘুচতে যাচ্ছে। কক্সবাজারে হতে যাচ্ছে নতুন স্টেডিয়াম।
এ বিষয়ে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, আমরা কক্সবাজারে একটি স্টেডিয়াম নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছি। এর একটি নকশা তৈরি করে প্রধানমন্ত্রীকে দেখানো হয়েছে। কিছু বিষয়ে সংশোধন সাপেক্ষে প্রাথমিকভাবে অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। যেখানে পাশে একটি ক্রিকেট স্টেডিয়ামও হবে। জিম এবং অনুশীলন গ্রাউন্ড সংযুক্ত করা হবে। আরো কিছু প্রক্রিয়া শেষে কাজ শুরু হবে।
তবে বাফুফের দাবি ছিল, ঢাকার আশেপাশে ফুটবলের জন্য নির্ধারিত নতুন এক স্টেডিয়ামের। সে ব্যাপারেও আশ্বাস মিলেছে।
ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঢাকার আশেপাশে একটি স্টেডিয়াম তৈরির ব্যাপারে বাফুফে আমাদের কাছে চাহিদা দিয়েছে। আমরা বাফুফের সাথে বসে ঢাকার কোথায় বা আশেপাশে কোথায় হলে ভাল হবে সেই জায়গায় ফুটবলের জন্য স্টেডিয়াম নির্মাণের চেষ্টা করবো।
তবে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সাথে আলোচনার প্রথম এজেন্ডা ছিল এই অর্থ বছরে বাফুফেকে ৪০ কোটি টাকা দেওয়ার। তবে সে ব্যাপারে খোলাসা করেননি প্রতিমন্ত্রী।
এর আগে বাফুফের কার্যনির্বাহী কমিটির সাথে আলোচনায় বসেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা। সংক্ষিপ্ত সভা শেষে উপস্থাপিত বিষয়গুলো তুলে ধরেন বাফুফে সভাপতি।
সব স্টেডিয়াম নির্মাণে পরামর্শ করা হবে বাফুফের সাথে। পাশাপাশি স্টেডিয়ামগুলো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব থাকবে ক্রীড়া পরিষদের।
পাঠকের মতামত