উখিয়া নিউজ ডেস্ক::
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ফার্স্ট ট্র্যাক প্রকল্প হিসেবে চিহ্নিত করে বর্তমান সরকার ১০টি মেগা প্রকল্প অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করছে।
তিনি বুধবার সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সদস্য বেগম ফজিলাতুন নেসা বাপ্পির এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন। খবর বাসসের
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘এই প্রকল্পগুলো আমি নিজে মনিটরিং করছি। বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পগুলো হলো—পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প; রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন; রামপাল মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্ট; মাতারবাড়ী আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কোল ফায়ার্ড পাওয়ার প্রজেক্ট; ঢাকা মাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প (মেট্রোরেল); এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ, মহেশখালী, কক্সবাজার; সোনাদিয়া গভীর সমুদ্রবন্দর; পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর; পদ্মা রেল সেতু সংযোগ প্রকল্প এবং দোহাজারী থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণ।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প ২৮ হাজার ৭৯৩ কোটি ৩৮ লাখ ৭৬ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। মূল সেতু এবং নদীশাসন কাজের মোবিলাইজেশন কাজ চলমান রয়েছে। জাজিরা প্রান্তে এপ্রোচ রোডের কাজ ৭৩ শতাংশ, মাওয়া প্রান্তে এপ্রোচ রোডের কাজ ৯০ শতাংশ, সার্ভিস এরিয়া (২) ৯১ শতাংশ, মূল সেতু নির্মাণ কাজের ২৩ শতাংশ অগ্রগতি সম্পন্ন হয়েছে এবং নদীশাসন নির্মাণকাজের অগ্রগতি ২০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। প্রকল্পটির ৩৩ শতাংশ সার্বিক অগ্রগতি সম্পন্ন হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পটি রাশিয়ান সরকারের অর্থায়নে ৫ হাজার ৮৭ কোটি ৯ লাখ টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িতব্য ৪টি চুক্তির মধ্যে এ প্রকল্পের প্রথম ও দ্বিতীয় চুক্তির কাজ শতভাগ সম্পন্ন হয়েছে।’
শেখ হাসিনা জানান, রামপাল মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্ট বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের যৌথ অর্থায়নে ১৭ হাজার ৭৭৮ কোটি ৫৬ লাখ টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্প বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এবং ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার কোম্পানি (এনটিপিসি) ইন্ডিয়া লিমিটেডের যৌথ উদ্যোগে বাস্তবায়িত হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘মাতারবাড়ী আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কোল ফায়ার্ড পাওয়ার প্রজেক্ট জাপান সরকারের অর্থায়নে ৩৫ হাজার ৯৮৪ কোটি ৪৬ লাখ টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পের ওনার্স ইঞ্জিনিয়ার অ্যাপন্টমেন্ট ল্যান্ড হান্ডেড ওভার টু সিপিজিসিবিএল, ইআইএ ক্লিয়ারেন্সের কাজ ১০০ ভাগ এবং বাউন্ডারি ফেন্সিং এর কাজ ৯০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকা মাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পটি (মেট্রোরেল) জাপান সরকারের অর্থায়নে মোট ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি ৭ লাখ টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়নের জন্য অনুমোদিত হয়েছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নে চূড়ান্ত করা টার্মিনাল ইউজ এগ্রিমেন্ট এবং ইমপ্লিমেন্টেশন এগ্রিমেন্টের ওপর ভেটিং পাওয়ামাত্র সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে পাঠানো হবে।’
তিনি বলেন, ‘কক্সবাজার জেলার সোনাদিয়ায় একটি গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের লক্ষ্যে জাপানের পেসিফিক কনসালটেন্ট ইন্টারন্যাশনাল (পিসিআই) কর্তৃক একটি টেকনো-ইকোনমিক স্টাডি করা হয়েছে। অর্থায়নের বিষয়টি চূড়ান্ত হলে শিগগিরই গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের কাজ শুরু হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর প্রকল্পটি ফার্স্ট ট্র্যাক প্রকল্প হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া পদ্মা রেল সেতু সংযোগ প্রকল্পটি চীন সরকারের অর্থায়নে জি টু জি পদ্ধতিতে ৩৪ হাজার ৯৮৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকা ব্যয়ে একনেকে অনুমোদিত হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘দোহাজারী থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পটি এডিবি অর্থায়নে ১৮ হাজার ৩৪ কোটি ৪৬ লাখ টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়নের জন্য একনেকে অনুমোদিত হয়েছে।’