শাহজাহান চৌধুরী শাহীন, কক্সবাজার::
কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার ছোট মহেশখালীর গহীন অরণ্যে একটি অবৈধ অস্ত্র তৈরির কারখানার উদ্ধার করেছে র্যাব-৭।
৪ জানুয়ারী বুধবার সকাল ৯টা থেকে অভিযান শুরু করা হয়। সেখান থেকে ২২ টি আগ্নেয়াস্ত্র, ৪ শতাধিক গোলাবারুদ ও অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়েছে দুইজন অস্ত্র কারিগরকে।
আটককৃতরা হচ্ছে, ছাট মহেশখালী ইউনিয়নের মৃত আজম উল্লাহর ছেলে মোঃ আব্দুল মাবুদ (৪০) ও একই এলাকার কবির আহম্মদের ছেলে মোঃ আবু তাহের (৪২)। উদ্ধার করা অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে দেশীয় তৈরি ১৪টি একনলা বন্দুক, ৬টি ওয়ান শ্যুটার গান, ১টি থ্রি কোয়ার্টার বন্দুক, ১টি দেশীয় রাইফেল, ১৭ রাউন্ড শর্টগানের গুলি, ৪ রাউন্ড ৩০৩ রাইফেলের গুলি, ১ রাউন্ড শর্টগানের গুলির খোসা।
এ ছাড়া অস্ত্র তৈরির কাজে ব্যবহৃত ড্রিল মেশিন, ৩টি বন্দুক তৈরির পাইপ, ১৫টি হেসকু ব্লেড, ৫টি রেত, ২টি প্লাস, ১টি এয়ার মেশিন, ৫টি ছেনা ও ১টি শাণ-পাথর উদ্ধার করা হয়।
দীর্ঘদিনের নিবিড় পর্যবেক্ষণ ও গোয়েন্দা তৎপরতার একপর্যায়ে র্যাব-৭ জানতে পারে যে, কক্সবাজার জেলার মহেশখালী থানাধীন বড় মহেশখালী ইউপির ২ নম্বর ওয়ার্ডের পাহাড়তলী গ্রামের গহিন জঙ্গলে কিছু সংঘবদ্ধ অস্ত্র ব্যবসায়ী ও অস্ত্র তৈরির কারিগর দীর্ঘদিন ধরে দেশীয় অস্ত্র তৈরি করে আসছিল। তারা এলাকায় স্থানীয় সন্ত্রাসী, অস্ত্র ব্যবসায়ী, অবৈধ অনুপ্রবেশকারী, রোহিঙ্গা, জলদস্যু, ডাকাতদের কাছে বিক্রি করে আসছে। এসব অস্ত্র দিয়ে কক্সবাজার, মহেশখালী, চকরিয়া ও আশপাশের এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে খুন, মুক্তিপণ, অপহরণ ও ডাকাতিসহ বিভিন্ন জঘন্য অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
আটক আব্দুল মাবুদ (৪০) জানায়, ২০০৬ সালে অস্ত্র তৈরির সরঞ্জামসহ র্যাব-৭ এর কাছে গ্রেফতার হয় এবং ০৪ বছর কারা ভোগ করে। আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।
র্যাব -৭ কক্সবাজার ক্যাম্পের এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সোহেল মাহমুদ জানান, আটকদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করে মহেশখালী থানায় সোপর্দেও প্রক্রিয়া চলছে।