৯ হাজার ৯০৯ পিচ ইয়াবা টেবলেট পাচারের মামলায় ২ ভাইকে ১৫ বছর করে সশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। একইসাথে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড, অর্থদন্ড অনাদয়ে আরো ৩ বছর করে বিনাশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবদুল্লাহ আল মামুন বুধবার ৩১ আগস্ট এ রায় ঘোষণা করেন।
কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারী দেলোয়ার হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।
দন্ডিত আসামীদ্বয় হচ্ছে-কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপের মাঝেরপাড়া গ্রামের মৃত নুরুল আমিনের ২ পুত্র মোঃ ওমর ফারুক (২৮) এবং ফয়েজ উদ্দিন প্রকাশ ফয়েজ উল্লাহ। রায় ঘোষণার সময় আসামী মোঃ ওমর ফারুক আদালতে উপস্থিত ছিলেন এবং ফয়েজ উদ্দিন প্রকাশ ফয়েজ উল্লাহ পলাতক রয়েছে।
রাষ্ট্র পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট সুলতানুল আলম।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ :
২০১৭ সালের ২১ মে বেলা ২ টা ২০ মিনিটের দিকে কক্সবাজারের টেকনাফস্থ ২ নম্বর বিজিবি’র সাবরাং বিওপি’র একটি টিম সাবরাং ওবিএম পোস্টের সামনে বেড়িবাঁধের রাস্তার উপর মটর সাইকেল আরোহী মোঃ ওমর ফারুক (২৮) এবং ফয়েজ উদ্দিন প্রকাশ ফয়েজ উল্লাহকে তল্লাশী করে ৯ হাজার ৯০৯ পিচ ইয়াবা টেবলেট উদ্ধার করে। এ ঘটনায় বিজিবি’র সাবরাং বিওপি’র নায়েক মোঃ আজানুর রহমান বাদী হয়ে ১৯৯০ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯(১) এর ৯(খ) ধারায় ধৃত ২ জনকে আসামী করে টেকনাফ মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার টেকনাফ থানা মামলা নম্বর : ৬০/২০১৭ ইংরেজি, জিআর মামলা নম্বর : ৪৪৮/২০১৭ ইংরেজি (টেকনাফ) এবং এসটি মামলা নম্বর ৯৭৮/২০১৮ ইংরেজি।
বিচার ও রায় :
মামলাটি বিচারের জন্য ২০১৯ সালের ১৭ জুন চার্জ (অভিযোগ) গঠন করা হয়। মামলায় সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ, আসামী পক্ষে সাক্ষীদের জেরা, আলামত প্রদর্শন, রাসায়নিক পরীক্ষা যাচাই, যুক্তিতর্ক সহ বিচারের সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে বিজ্ঞ বিচারক আবদুল্লাহ আল মামুন বুধবার উল্লেখিত রায় ঘোষণা করেন
পাঠকের মতামত