বিশ্বব্যাপী সম্প্রতি ৫টি বিষয়ে বিরাজমান সমস্যার সমাধানের কারণ বের করা হয়েছে। আর এসব সমস্যার সমাধান বের করার চেষ্টা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় পড়–য়া ৩ শিক্ষার্থী। এজন্য কক্সবাজারে বসে টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা বিষয়ক জাতিসঙ্গের তিন দিনের টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা বিষয়ক জাতিসঙ্গের (এসডিজি-এমইউএন) ছাঁয়া সম্মেলন।
২০ মে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয় পড়–য়া ৩শ শিক্ষার্থীর অংশগ্রহনে ৩ দিনের এ সম্মেলন সম্পন্ন হয়।হাউজ অব ইয়ুথ ডায়ালগ নামে একটি সংগঠনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে বেলুচিস্তানের মানবাধিকার পরিস্থিতি, এইচআইভি এইডস নিরাময়,দারিদ্র বিমোচন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা ও দক্ষিণ এশিয়ার পর্যটন শিল্প বিকাশ সহ মোট ৫টি বিষয় নিয়ে তিনদিনের গবেষণাধর্মী আলোচনা হয়।
এতে অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, শ্রীলংকার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা। তারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধি হিসেবে আলোচনায় অংশ নেন।
এই ৫টি বিষয় নিয়ে বিশ্বের কোন দেশ কি ভাবছেন, কোন দেশে কি পরিস্থিতি, কি করা প্রয়োজন, কি তাদের দাবি, পরামর্শ কি কি তা নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তি দিয়ে বিষদ আলোচনা হয়। তিন দিন ব্যাপী এই সম্মেলন থেকে বের হয়ে নানা সমস্যা ও সমাধান।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি জাহেদ হাসান আখন্দ বলেন- ‘তিনদিনের আলোচনা থেকে যে তথ্য বের হয়ে এসেছে তা বাস্তবায়নে বিবেচনার জন্য জাতি সংঘের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হবে। যা বাস্তবায়ন হলে বিশ্ব ও মানব কল্যাণে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছি।
’সাধারণ সম্পাদক হামিম ইসলাম বলেন-‘জাতি সংঘ যে সব লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করে তা নিয়ে এ সংগঠন কাজ করছে। তা ছাড়া সমসাময়িক সমস্যা চিহিৃতকরণ ও সমাধানে সমন্বিত আলোচনার প্রেক্ষিতে মতামত প্রকাশ করা হয়।
’সংগঠনের সহ সভাপতি আদিবা আল ইব্রাহীম বলেন-‘ বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয় পড়–য়া শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহনে ২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১১টি সম্মেলন অনষ্ঠিত হয়েছে। গতবার নেপালে হয়েছে এবার বাংলাদেশের কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত হল। আগামিবার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে ভারতে।’
ঢাকা নর্থ সাউট ইউনিভার্সিটির ছাত্রী সুমাইয়া ইসলাম বলেন-‘এই সম্মেলনে অংশগ্রহণের কারনে অনেক কিছু শিখতে পেরেছি। যা শুধু জাতীয় নয়, আন্তর্জাতিক বিষয়ে আলোচনা করতে পেরে অনেক উৎসাহ পেয়েছি। যা আগামি যে কোন কঠিন বিষয়ে কাজ করতে সমস্যা হবেনা।’
ঢাকা ব্র্যাক ভার্সিটির ছাত্র ফয়সাল আহমদ বলেন-‘ এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে যোগ্যতা অর্জনের মধ্য দিয়ে আমি আন্তর্জাতিক যে কোন অনুষ্ঠানে প্রতিনিধিত্ব করতে পারবো।
তিন দিনের সম্মেলন থেকে বের হয়ে আসা সমস্যা ও সমাধান জাতি সংঘের কাজের ত্বরান্বিত করতে গুরুত্ববহণ করতে পারবো বলে আশা করছি।