বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বিইজেডএ) দুই লাখ লোকের কর্মসংস্থানের লক্ষ্য নিয়ে কক্সবাজার জেলায় তিনটি পর্যটন পার্ক স্থাপন করছে। এই তিনটি ট্যুরিজম পার্ক হলো সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক, নাফ ট্যুরিজম পার্ক (জালিয়ার দ্বীপ) এবং সোনাদিয়া ইকো ট্যুরিজম পার্ক।
বিইজেডএ নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী মঙ্গলবার বলেছেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে পর্যটক আকর্ষণে আমরা তিনটি পর্যটন পার্ক তৈরির পরিকল্পনা করেছি। প্রতিবছরে এতে বাড়তি দুইশ কোটি মার্কিন ডলারের অর্থনৈতিক কার্যক্রমের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
ট্যুরিজম পার্কের উন্নয়ন সম্পর্কে তিনি বলেন, বিইজেডএ মনে করে ভ্রমণ এবং পর্যটনে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থান ১২৭ থেকে দ্বিগুণ বেড়ে ভ্রমণ ও পর্যটন সূচক ডাবল ডিজিটে উন্নীত হবে। এসব ট্যুরিজম পার্ক দ্রুতগতিতে বাস্তবায়নে ভূমি, সড়ক উন্নয়ন এবং সেতু নির্মাণ কাজ চলছে এবং ২০১৮ সালের মধ্যে উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন হবে।
তিনি আরো বলেন, কক্সবাজার জেলায় ১০২৭ একর জমি নিয়ে প্রথম সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক বাস্তবায়ন হবে। এটি পাহাড় ও সমুদ্র সৈকত নিয়ে বহুমুখী ও বৈচিত্রপূর্ণ চমৎকার একটি জায়গা। বিশুদ্ধ বাতাস, উঁচু পাহাড়, সমুদ্র ও হ্রদ সকল ধরনের ট্যুরিজম ও বিনোদনের স্থান হিসেবে উন্নয়নের জন্য উপযুক্ত জায়গা।
পবন বলেন, হোটেল কমপ্লেক্স, ইকো-ট্যুরিজম, রিক্রিয়েশনাল ট্যুরিজম, বিজনেস ট্যুরিজম, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ট্যুরিজমসহ বিভিন্ন ধরনের শিল্প এখানে গড়ে উঠতে পারে। সমুদ্র সৈকতে অবস্থিত এ পার্ক থেকে সামুদ্রিক জাহাজে কোরাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে যেতে আধাঘণ্টা সময় লাগবে। পার্কটি টেকনাফ স্থলবন্দর থেকে ৮ কিলোমিটার এবং কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে গাড়িতে ২ ঘণ্টার দূরত্বের মধ্যে।
নাফ ট্যুরিজম পার্ক (জালিয়ার দ্বীপে) নাফনদীর মাঝে চমৎকার একটি দ্বীপ। ২৯১ একর জায়গা নিয়ে এই পার্কটি তৈরি হবে। উঁচু পাহাড় এবং নদী দ্বীপটিকে বিশ্বমানের পর্যটক আর্কষণীয় স্থানে পরিণত করেছে। এই দ্বীপটি রাজধানী ঢাকা থেকে ৪৫০ কিলোমিটার এবং চট্টগ্রাম নগরী থেকে ১৮৫ কিলোমিটার দূরে। তবে কক্সবাজার বিমান বন্দর থেকে মাত্র ৬০ কিলোমিটার দূরে।
ফাইভস্টার হোটেল, ঝুলন্ত সেতু, ৯.৫ কিলোমিটার ক্যাবল কার নেটওয়ার্ক, ভাসমান জেটি, শিশুপার্ক ও ইকো কটেজ, ওশেনারিয়াম এবং ওয়াটার রেস্টুরেন্ট সুবিধা থাকবে এখানে। পার্কটি প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে ২০ হাজার লোকের কর্মসংস্থান করবে।
পবন চৌধুরী বলেন, এই পার্কটির সার্বিক উন্নয়নে প্রায় ২ হাজার ৫শ’ কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে। বিইজেডএ বিভিন্ন অংশীদারদের নিয়ে সোনাদিয়া ইকো ট্যুরিজম পার্ক স্থাপন করবে। সূত্র: বাসস