কক্সবাজারের সীমান্ত এলাকায় ১ লক্ষ ৭০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট পাচারের মামলায় ৬ জন রোহিঙ্গাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
একইসাথে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরো ৩ বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
বুধবার কক্সবাজারের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ শাহীন উদ্দিন এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিতরা হলেন মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গা কেফায়েত উল্লাহ, হোছন, মো: শরীফ, সৈয়দূর রহমান, নুর হোসেন ও মোহাম্মদ হোসেন।
রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রপক্ষে একই আদালতের এপিপি অ্যাডভোকেট বদিউল আলম (সোহেল) মামলাটি পরিচালনা করেন।
একই কার্যালয়ের জেলা নাজির বেদারুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ঘটনা সংঘটিত হওয়ার মাত্র ১ বছর ৩ মাস ১৩ দিনে মামলাটির রায় ঘোষনা হয়েছে।
২০২২ সালের ১৬ আগস্ট বিকেলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের টেকনাফ বিশেষ জোনের সহকারী পরিচালক মোঃ সিরাজুল মোস্তফার নেতৃত্বে একটি টিম অভিযান চালিয়ে টেকনাফের সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের ছেড়াদ্বীপের দক্ষিণ পূর্ব সমুদ্র এলাকায় একটা ফিশিং বোট আটক করে।
পরে ফিশিং বোটে থাকা রোহিঙ্গা কেফায়েত উল্লাহ, মো: হোছন, মো: শরীফ সৈয়দূর রহমান, নুর হোসেন ও মো: হোসেনকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতদের স্বীকারোক্তি মতে তাদের হেফাজত থেকে এক লক্ষ ৭০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের টেকনাফ বিশেষ জোনের সহকারী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম মোস্তফা বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।