কক্সবাজারের বেসরকারি ইউনিয়ন হাসপাতালে ডাক্তার ও নার্সদের ভুল চিকিৎসায় মারা গেলো মহেশখালীর আফসানা হোসেন শীলা নামের এক প্রসূতি তরুণী মা। এমনটি অভিযোগ পাওয়া গেছে পরিবারের পক্ষ থেকে।
ওই প্রসূতি মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের নোনাছড়ি এলাকার মাষ্টার সোলাইমানের ছেলে ইখতিয়ার উদ্দিন মোহাম্মদ খানের স্ত্রী। আগামী ৬ মে শীলার সম্ভাব্য ডেলিভারির দিন তারিখ ঠিক থাকলেও নিয়মিত চেকআপের জন্য স্বামী ইখতিয়ার স্ত্রী শীলাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের ডাঃ ও ইউনিয়ন হাসপাতালে চেম্বারকারী নীনা জিহানের কাছে নিয়ে গেলে শীলার হিমোগ্লোবিন কমে গেছে, তাই রক্ত দিতে হবে বলে পরামর্শ দেন।
তার পরামর্শক্রমে ২১ এপ্রিল শহরের বেসরকারি ইউনিয়ন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় প্রসূতি শীলাকে। ইউনিয়ন হাসপাতালে ঐ দিন রাতে প্রসূতির ডেলিভারি করতে গিয়ে ডাঃ শাহেদ, নার্স সোমা ও হিমু তার জরায়ু ফুটা করে ফেলেন বলে অভিযোগ করেন শীলার পরিবার। তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে ওখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তার জরায়ু কেটে ফেলেন বলে অভিযোগ করেন শীলার বাবা কক্সবাজার নুনিয়াছড়ার মোহাম্মদ হোসেন। এসময় তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। তাকে প্রথমে আইসিউতে এবং পরে লাইফসাপোর্টে নেওয়া হয়। লাইফসাপোর্টে থাকাকালীন ২৫ এপ্রিল রাতে শীলার মৃত্যু হয়। ২৪ ব্যাগ রক্ত দিয়েও বাঁচানো যায়নি আফসানা হোসেন শীলাকে।
এখন ফুটফুটে নবজাতক শিশুটিকে নিয়ে এবং শীলার মৃতদেহটি নিয়ে পরিবারে কান্নার রোল থামানো যাচ্ছে না। ইখতিয়ারের কান্নায় পরিবেশ ভারি হয়ে উঠেছে।
বিষয়টি কক্সবাজারে আলোচনা সমালোনা হচ্ছে। এব্যাপারে সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির দাবী উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে। সুত্র: ইনকিলাব