দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার জেলার ৪টি সংসদীয় আসনে ২৬ জন সংসদ সদস্য প্রার্থী হয়েছিলেন। এর মধ্যে জাতীয় পার্টির ৩ জন, স্বতন্ত্র প্রার্থী ৩ জন, তৃণমূল বিএনপির ১ জন, বাংলাদেশ কল্যান পার্টির ১ জনসহ ১৯ জনই জামানত হারাচ্ছেন।
রিটানিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ঘোষিত প্রাথমিক বেসরকারি ফলাফল বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী, নির্বাচনে কোনো আসনে প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ ভোট কোনো প্রার্থী যদি না পান, তাহলে তাঁর জামানত বাজেয়াপ্ত করা হয়। সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য প্রত্যেক প্রার্থীকে জামানত হিসেবে ২০ হাজার টাকা জমা দিতে হয়।
রিটানিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে প্রার্থী ছিলেন ৭ জন, এর মধ্যে ৫ জনই জামানত হারাচ্ছেন। এ আসনে ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৮৬ হাজার ২৫২। ১৫৮ কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার ৬১৩টি। এর ৮ ভাগের ১ ভাগ হচ্ছে ১৭ হাজার ৫৭৬, যা পাননি ৫ প্রার্থী।
এ আসনে বাংলাদেশ কল্যান পার্টির প্রার্থী অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল সৈয়দ মো: ইব্রাহিম ৮১ হাজার ৯৫৫ ভোট পেয়ে নর্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি স্বতন্ত্র প্রার্থী জাফর আলম পেয়েছেন ৫২ হাজার ৮৯৬ ভোট। এ আসনে জামানত হারাচ্ছেন ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী আবু মোহাম্মদ বশিরুল আলম (প্রাপ্ত ভোট ৫৩৭), জাতীয় পার্টির হোসনে আরা (প্রাপ্ত ভোট ৭৭৩), বাংলাদেশ ইসলামিক ফ্রন্টের মোহাম্মদ বেলাল উদ্দিন (প্রাপ্ত ভোট ৬৯১), স্বতন্ত্র প্রার্থী (জাফর আলমের ছেলে) তানভীর আহমেদ সিদ্দিকী তুহিন ( প্রাপ্ত ভোট ২৪৪), স্বতন্ত্র প্রার্থী কামর উদ্দীন (প্রাপ্ত ভোট ১৮০)।
কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনে প্রার্থী ছিলেন ৬ জন, এর মধ্যে ৪ জনই জামানত হারাচ্ছেন। এ আসনে ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৪৮ হাজার ১২৭। ১১৮ কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৫৬৮টি। এর ৮ ভাগের ১ ভাগ হচ্ছে ১৬ হাজার ৯৪৬, যা পাননি ৪ প্রার্থী।
এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আশেক উল্লাহ রফিক ৯৭ হাজার ৬০৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি শরীফ বাদশা পেয়েছেন ৩৫,৬১৩ ভোট। এ আসনে জামানত হারাচ্ছেন ইসলামী ঐক্যজোটের মোহাম্মদ ইউনুস (প্রাপ্ত ভোট ২৭৬), ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ এর মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান (প্রাপ্ত ভোট ২২৪), বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) মোহাম্মদ খায়রুল আমিন (প্রাপ্ত ভোট ১৬০), বাংলাদেশ ন্যাশালিস্ট পার্টির ( এনপিপি ) মাহবুবুল আলম (১৪৮)।
কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু-ঈদগাঁও) আসনে প্রার্থী ছিলেন ৬ জন, এর মধ্যে ৫ জনই জামানত হারাচ্ছেন। এ আসনে ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৮৯ হাজার ৬১০। ১৭৬ কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ১ লাখ ৯৫ হাজার ৫০৭টি। এর ৮ ভাগের ১ ভাগ হচ্ছে ২৪ হাজার ৪৩৮, যা পাননি ৫ প্রার্থী।
এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাইমুম সরওয়ার কমল ১ লাখ ৬৭ হাজার ৬০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ব্যারিস্টার মিজান সাঈদ ২১ হাজার ৯৪৬ ভোট পেয়েও জামানত হারাচ্ছেন। একই আসনে জামানত হারাচ্ছেন জাতীয় পার্টির এডভোকেট মোহাম্মদ তারেক (প্রাপ্ত ভোট ১,৩৭১), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মহাসচিব আব্দুল আউয়াল মামুন (৯৮৮), ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির ( ন্যাপ ) শামীম আহসান ভুলু (প্রাপ্ত ভোট ৫০৫), বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের ( বিএনএফ ) মোহাম্মদ ইব্রাহিম (প্রাপ্ত ভোট ২৬৮)।
কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনে প্রার্থী ছিলেন ৭ জন, এর মধ্যে ৫ জনই জামানত হারাচ্ছেন। এ আসনে ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ২৬ হাজার ৬১০। ১৭৬ কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ১ লাখ ৯৫ হাজার ৫০৭টি। এর ৮ ভাগের ১ ভাগ হচ্ছে ২৪ হাজার ৯৭১, যা পাননি ৫ প্রার্থী।
এ আসনে আওয়ামী লীগের শাহিন আকতার ১ লাখ ২২ হাজার ৮০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরুল বশর পেয়েছেন ৩১ হাজার ৭০৭ ভোট। এ আসনে জামানত হারাচ্ছেন জাতীয় পার্টির নুরুল আমিন সিকদার ভুট্টো (প্রাপ্ত ভোট ১,৭৫৮), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) ফরিদ আলম (প্রাপ্ত ভোট ৩২৭), তৃণমূল বিএনপির মুজিবুল হক মুজিব (প্রাপ্ত ভোট (২৪৬), ইসলামী ঐক্যজোটের মোহাম্মদ ওসমান গনি চৌধুরী (প্রাপ্ত ভোট ৮২৫) ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের মোহাম্মদ ইসমাইল (প্রাপ্ত ভোট ২৪৭)।। সুত্র দৈনিক কক্সবাজার