কক্সবাজার জেলার নবনিযুক্ত পুলিশ সুপার (এসপি) হিসেবে যোগদান ও দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন মোঃ সাইফউদ্দীন শাহীন।
রবিবার (৯ মার্চ ২০২৫ ইং) পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
দায়িত্ব গ্রহণের পর পুলিশ সুপার কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে এক পরিচিতি সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় পুলিশ সুপার জেলার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি পুলিশ সদস্যদের সেবার মনোভাব নিয়ে নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করে পর্যটন নগরী কক্সবাজারের অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে সবার আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন।
পরিচিতি সভায় এসময় উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ শাকিল আহমেদ, (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) ক্রাইম এন্ড অপস্, নাজমুস সাকিব খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ), অলক বিশ্বাস, মোঃ জসীম উদ্দীন চৌধুরী, পিপিএম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, (ট্রাফিক), আহমেদ পেয়ার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সদর সার্কেল, এম. এম. রকীব উর রাজা, সহকারী পুলিশ সুপার,ওসি সহ বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ সদস্যগণ।
এর আগে নবাপগত পুলিশ সুপারকে কক্সবাজার বিমান বন্দরে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ফুল দিয় বরণ করা হয়। পরে অফিসার্স মেস-এ পৌঁছালে জেলা পুলিশের একটি সুসজ্জিত চৌকস দল নবাগত পুলিশ সুপারকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। পরবর্তীতে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আসলে উপস্থিত অফিসার, ফোর্স এবং সিভিল স্টাফদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও ফোর্সগণ তাঁকে সাদর অভ্যর্থনা জানান।
নবাগত পুলিশ সুপার মোঃ সাইফউদ্দিন শাহীন ২৪তম বিসিএস (পুলিশ) ব্যাচের একজন কর্মকর্তা। কর্মজীবনে তিনি কক্সবাজার, ঢাকা মেট্রোপলিটন, ভোলা, শরীয়তপুর, ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টার, গাজীপুর, এসবি ও সর্বশেষ রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ এ গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্বপালন করেন।
প্রসঙ্গত,১৭ ফেব্রুয়ারী জাতীয় দৈনিকে কক্সবাজার জেলা সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) মো: রহমত উল্লাহর সম্মতি নিয়েই বড় ধরনের ইয়াবা চালান বিক্রি করা হয়েছে বলে একটি অনুস্বন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
ওই সংবাদ প্রকাশের পরপর কক্সবাজার সহ দেশ জুড়ে ব্যাপক সমসালোচনার মুখে পড়ে পুলিশের ভাবমূর্তি।
এর পরপরই পুলিশ সুপার (এসপি) মো: রহমত উল্লাহকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দেয় পুলিশ হেড কোয়ার্টার্স। এবং ২৪ ঘন্টার মধ্যে (১৮ ফেব্রুয়ারি) পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ঢাকায় রিপোর্ট করতে বলা হয়। পরবর্তীতে ৪ মার্চ এক বিজ্ঞপ্তিতে সদ্য প্রত্যাহার এসপি মুহাম্মদ রহমত উল্লাহকে পুলিশ অধিদপ্তর, ঢাকায় সংযুক্ত এসপি হিসেবে বদলি করা হয়।