# জিওসি’র সদর থানাসহ ৬ থানা পরিদর্শন
জেলার সকল থানার কার্যক্রম সীমিত পরিসরে শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে । তবে পুলিশের পুরোপুরি সেবা সচল করতে কিছু সময় লাগবে। এর জন্য সেনাবাহিনীর পক্ষে সকল প্রকাল সহযোগিতা করা হচ্ছে। রামুর সেনাবাহিনীর ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল শেখ মো: সরওয়ার হোসেন গতকাল জানিয়েছেন এ তথ্য। তিনি কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন। তিনি পর্যটকদের স্বাগত জানিয়ে বলেন কক্সবাজারের সমস্ত পর্যটনের পথ চালু রয়েছে আগত পর্যটকদের সার্বিক করা হবে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে।
গতকাল শনিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে কক্সবাজার সদর মডেল থানা পরিদর্শনে এসে গণমাধ্যম কর্মীদের তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন দেশে চলমান পরিস্থিতিতে সাধারণ জনগণের পাশে সেনা বাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন। সেনাবাহিনীকে সহযোগিতা করছেন শিক্ষার্থীরাও। এ পরিস্থিতিতে নানা কারণে থানা পুলিশের সেবা কার্যক্রম পুরোদমে সচল করতে কাজ চলছে বলে জানান।
গতকাল দুপুর পর্যন্ত কক্সবাজারের ছয়টি থানার পরিদর্শনের কথা উল্লেখ করে মেজর জেনারেল শেখ মো: সরওয়ার হোসেন বলেন, কক্সবাজারে ৬ টি থানায় পুলিশের কার্যক্রম ও উপস্থিতি সন্তোষজনক। প্রতিটি থানায় সেনাবাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন। রয়েছেন আনসার সদস্যরা। থানায় কিছু আসবারপত্র, প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম লুট হয়ে গেছে। সেনা বাহিনীর পক্ষে দ্রুত সময়ের মধ্যে তা ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কয়েক দিনের মধ্যেই কক্সবাজারের সকল থানার কার্যক্রমের গতি ফিরে আসবে বলে তিনি মনে করেন।
তিনি উপস্থিত ছাত্র প্রতিনিধিদের অভিনন্দন জানিয়েছে বলেন, ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীরা এলাকায় ঘুরে ঘুরে থানার লুট করা মালামাল উদ্ধার করে থানায় ফিরে নিয়ে আসছে। এটা অব্যাহত রয়েছে। শিক্ষার্থীদেরও সহযোগিতা দিচ্ছে সেনা বাহিনী। তিনি বলেন, কক্সবাজার একটি সম্প্রীতিময় জেলা এবং এলাকার লোকজন শান্তি প্রিয়।
পর্যটকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন- কক্সবাজারের স্বাভাবিক পরিবেশ বিরাজ করছে। পর্যটন কেন্দ্র গুলো উন্মুক্ত রয়েছে। পর্যটকরা ইচ্ছে করলে যেকোনো জায়গা ভ্রমন করতে পারবে। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে তাদের সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করা হবে। তিনি পর্যটক ব্যবসায়ীদের সকল সহযোগিতা দেবেন বলেও জানান।
রামুস্থ সেনাবাহিনীর ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি থানা প্রাঙ্গণ পরিদর্শন ও উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন। তাদের সকল প্রকার সহযোগিতা আশ্বাস দেন। বলেন, সেনা বাহিনীর পক্ষে পরিস্থিতি অনুকূল না হওয়া পর্যন্ত খাবারসহ সকল সহযোগিতা দেয়া হবে। থানায় যা যা প্রয়োজন দেয়া হবে। কেননা পুলিশ ছাড়া আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক করা সম্ভব না। এ সময় জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান, পুলিশ সুপার মো: মাহাফুজুল ইসলাম, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাকিবুজ্জামানসহ সেনা বাহিনী এবং পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পাঠকের মতামত