দীর্ঘ দেড় যুগ ধরে বঙ্গবন্ধরু আদর্শের স্লোগানে কক্সবাজারের রাজপথকে মুখরিত রেখে পিতা মুজিবের স্বপ্ন বাস্তব্যয়নে যিনি সীমাহীন ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন তিনি কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ হোসাইন তানিম।
শৈশব স্কুলে “এবারের সাংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম ” বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের সেই অমর কবিতা কানে বাঁজলে নিজের অজান্তে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রেমে পড়ে যান তানিম ভাই। শুরু হয় ছাত্ররাজনীতিতে জীবনের নতুন অধ্যায়। স্কুল ছাত্র রাজনীতিতে নিজেকে ত্যাগী ও পরিশ্রমী প্রমাণ করে নজর কাড়েন ততকালীন জেলা ছাত্রলীগ, আওয়মীলীগ ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শিত সাধারণ মানুষের।
কক্সবাজার টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজে ভর্তি হয়ে খুব অল্প সময়ে ছাত্রলীগকে সুসংগঠিত করে মোকাবেলা করেছেন ১/১১ এর মত কঠিন সময়। ১/১১ বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করা হলে অনেকের মত লুখিয়ে না থেকে রাজপথে মিছিল, মিটিং, সমাবেশ করেছেন পরিক্ষিত বঙ্গবন্ধুর এই সৈনিক মোরশেদ হোসাইন তানিম। তার উপহার হিসাবে পেয়েছেন কক্সবাজার টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব।
দেশের যে কোন কঠিন সময়ে দেশ মাতৃকার টানে রাজপথে থেকে প্রমাণ করেছেন নিজেকে । দেশে বিএনপি-জামাতের দুঃশাসন, রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষা ও ছাত্র সমাজের অধিকার আদায়ের কথা বলতে গিয়ে মিথ্যা মামলা সহ নির্যাতিত হয়েছেন একাদিক বার। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদশের্র প্রতি তার ভালবাসা, বিশ্বাস, সততা ও যোগ্যতা বিবেচনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কক্সবাজার শহর শাখার সভাপতি মনোনিত হন মোরশেদ হোসাইন তানিম।
২০০৮ সালে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর কক্সবাজার শহর শাখার ছাত্রলীগ নেতা কর্মীদের নিয়ে জেলা , বিভিন্ন উপজেলা ও ওয়ার্ডের ঝড়ে পড়া মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা গড়ার শপথে কাজ শুরু করার পাশাপাশি সহযোগিতা করছেন সরকারি বিভিন্ন কাজে।
নতুন প্রজম্মকে মুক্তিযোদ্বের সঠিক ইতিহাস ও হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সঠিক আদর্শকে তরুন প্রজম্মের মাঝে ছড়িয়ে দিয়ে সমৃদ্ব করছেন শিক্ষা, শান্তি, প্রগতির পতাকা।
২০১৩ সালে পূণরায় আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর শুরু হওয়া বিএনপি,জামাত ও শিবিরের জালাও, পোড়াও বর্বরতা। দেশের এই কঠিন সময়ে শহর ও জেলা ছাত্রলীগ নেতা কর্মীদের সাথে নিয়ে মোরশেদ হোসাইন তানিমের নেতৃত্বে রাজপথ দখলে রাখার স্মৃতি চিহ্ন ও জামাত-শিবিরকে কক্সবাজার থেকে বিতাড়িত করা এখনো সবার চোঁখে ভাঁসছে ।
সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় “মোরা”য় প্রায় ৩ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া ও তাদের পর্যাপ্ত খাবারের ব্যবস্থা করতে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ হোসাইন তানিম সহকর্মী সহ কাঁধে খাবারের বস্তা নিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়া, প্রতিনিয়ত খোজ খবর নেওয়া ও রাত্রী যাপন করা কক্সবাজারে নতুন ইতিহাস সৃষ্টির পাশাপাশি দেশব্যাপী প্রশংসিত হয়েছেন। ছাত্রলীগের সাবেক সফল সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের আজাদের মতে মোরশেদ হোসাইন তানিম জেলা ছাত্রলীগের পরিপূর্ণ একজন ছাত্রনেতা ও তার ভাল উদ্যোগ গুলো সারা জীবন তাকে ছাত্র সমাজের মধ্যে বাঁচিয়ে রাখবে। তানিম ভাইয়ের প্রতি ছাত্র সমাজের ভালবাসা কথা বলতে গিয়ে উখিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আবছার উদ্দিন শান্ত বলেন বেশি কিছু বলবনা শুধু বলব তানিম ভাই অসাধারণ এক অছেনা আলো।
চলমান প্রবল বর্ষণে কক্সবাজার জেলার প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ আজ পানিবন্দি ও অনাহারে জীবন যাপন করছেন। সেই অসহায় মানুষ গুলোর পাশে ৫ জুলাই থেকে জেলার বিভিন্ন উপজেলা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ডে বন্যা দূর্গতের সাথে দিবারাত্রী যাপন করছেন মোরশেদ হোসাইন তানিম। চকরিয়া উপজেলা ত্রাণ বিতরণে পর সবার নজড় কাড়েন এক বৃদ্বা মুহিলা, এই বৃদ্বা মুহিলা হাত উচু করে আল্লাহর দরবারে বার বার বলছেন আল্লাহ তুমি তানিম নামের এই ছেলেটাকে বড় নেতা বানাই দিও, এই ছেলে নেতা হলে কক্সবাজারে কোন আসহায় মানুষ থাকবেনা।
শুধু এই বৃদ্বা মুহিলা নয় কক্সবাজার জেলার ছাত্র সমাজ, যুব সমাজ সহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষ চাই মোরশেদ হোসাইন তানিম বড় নেতা হউক, কারণ গরিব ঘরের ছেলে নেতা হলে সহজেই বুঝবে গরিব মানুষের কষ্ট, বেদনা, যন্ত্রনা ও তার হাতে নিরাপদ কক্সবাজার জেলার মানুষ। তাই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি- সাধারণ সম্পাদকের প্রতি মোরশেদ হোসাইন তানিম ভাইকে আগামীতে জেলা ছাত্রলীগের অভিবাবক করার জন্য অনুরুধ জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা, সকল উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা।
লেখক :
মিছবাহ আজাদ
পাঠকের মতামত