কক্সবাজার প্রতিনিধি
কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি শীঘ্রই ঘোষণা করা হবে। ইতোমধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটির একটি তালিকাও প্রস্তুত করেছেন জেলা আ’লীগের নবনির্বাচিত কমিটির সভাপতি-সম্পাদক। এখন তালিকাটি আরো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। যাচাই-বাছাই শেষ হলে তালিকাটি পাঠানো হবে কেন্দ্রে। এরপর কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সম্পাদকের অনুমোদন নিয়ে ঘোষণা করা হবে পূর্ণাঙ্গ কমিটি।
জেলা আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, টানা একযুগ পর গত ৩১ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত হয় কক্সবাজার জেলা আ’লীগের সম্মেলন ও কাউন্সিল। কাউন্সিলে কেন্দ্রীয় আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম দলীয় সভানেত্রীর সিদ্ধান্তক্রমে এডভোকেট সিরাজুল মোস্তাফাকে সভাপতি ও মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যানকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা দেন। এরপর থেকে গত ৬ মাস ধরে এই দুই নেতার নেতৃত্বেই পরিচালিত হয় জেলা আওয়ামী লীগ। পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনে বিলম্বের কারণ হিসাবে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনকে দায়ী করেন বর্তমান নেতারা।
জেলা আ’লীগের সভাপতি-সম্পাদক জানান, মাত্র ২ মাস পর চলতি বছরের অক্টোবর মাসেই অনুষ্ঠিত হবে কেন্দ্রীয় আ’লীগের কাউন্সিল ও সম্মেলন। তার আগেই কক্সবাজার জেলা আ’লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন প্রক্রিয়া শেষ করতে চায় জেলা আ’লীগের নবনির্বাচিত সভাপতি সম্পাদক। ইতোমধ্যে সেই প্রক্রিয়াটি শুরু করেছেন বলে জানান জেলা আ’লীগের সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা ও সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান। তারা জানান, জেলা আ’লীগের ৭১ সদস্য কমিটি গঠনের লক্ষ্যে তারা নানা বিষয়কে মাথায় নিয়ে কাজ শুরু করেছেন। তবে এবারের জেলা আ’লীগের কমিটিতে সাবেক ছাত্রনেতা ও ত্যাগীদের অগ্রাধিকার থাকবে। এছাড়া কমিটি থেকে বাদ পড়বেন দলের সিদ্ধান্ত অগ্রাহ্যকারী ও অসাংগঠনিক ও দুর্বল প্রবীণ নেতারা। বর্তমানে একটি তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। তালিকাটি আরো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
সূত্র আরো জানায়, এবারের জেলা কমিটিতে প্রবীণদের চেয়ে নবীনদের বেশি প্রাধান্য দেয়া হবে। বিশেষ করে সাবেক ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাদেরকে কমিটিতে রাখার ব্যাপারে অগ্রাধিকার দেয়া হবে; যারা অতীতে দলের কাছে নানাভাবে অবহেলার শিকার হয়েছেন। আবার যারা দলের পদপদবি নিয়েও দলের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত ছিলেন, তারা নতুন কমিটিতে ঠাঁই পাবেন না। জেলা আ’লীগ সূত্র আরো জানায়, কক্সবাজার জেলা আ’লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে ত্যাগী ও দক্ষ রাজনীতিক এবং নবীনদের দিয়ে সাজানো হবে। ৭১ সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটিতে শুধু কক্সবাজার জেলা শহর থেকেই রাখা হবে ৪০ জনের মত সদস্যকে। মূলত জেলা শহরে সাংগঠনিক ভিতকে আরো মজবুত করতে এটি করা হচ্ছে বলে জানান জেলা আ’লীগ নেতারা। কমিটির বাকী সদস্যরা থাকবেন উপজেলা শহরের। এখানেও সাবেক ছাত্রনেতা ও নবীনদের প্রাধান্য থাকবে। সূত্র জানায়, সাংগঠনিক নিয়ম অনুযায়ী ৭১ বিশিষ্ট কমিটিতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও ৯ জন সহ-সভাপতি, ৩ জন যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, ৩ জন সাংগঠনিক সম্পাদক, ১ জন প্রচার সম্পাদক, ১ জন উপ-প্রচার সম্পাদক, ১ জন কৃষি বিষয়ক সম্পাদক, ১ জন দপ্তর সম্পাদক, ১ জন উপ-দপ্তর সম্পাদক, ১ জন তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক, ১ জন যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক, ১ জন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক, ১ জন আইন বিষয়ক সম্পাদক, ১ জন সাংস্কৃতিক সম্পাদক, ১ জন আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক, ১ জন স্বাস্থ্য সম্পাদক এবং বাকীরা থাকবেন নির্বাহী সদস্য।