প্রকাশিত: ১১/০৫/২০১৬ ৮:১৭ এএম

durউখিয়া নিউজ ডেস্ক::

কক্সবাজারে পরিবেশ অধিদপ্তর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সরদার শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কাজী ইমতিয়াজ হাশমী বলেন, ‘ইতোমধ্যে তার বিরুদ্ধে তদন্ত করতে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালককে নির্দেশ দিয়েছেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনগত ব্যবস’া নেওয়া হবে।’
পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, যেসব বিষয় নিয়ে সরদার শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য- কক্সবাজারে কোনো হাসপাতাল বা প্যাথলজি পরিবেশ ছাড়পত্র না পেলেও যুদ্ধাপরাধী মীর কাশেম আলীর মালিকানাধীন ফুয়াদ আল খতিব হাসপাতালকে পরিবেশগত ছাড়পত্র প্রদান, ইটভাটাগুলো থেকে এককালীন কিংবা মাসিক চাঁদা আদায়, পাহাড় কেটে গড়ে ওঠা আবাসন প্রকল্প থেকে একাধিক প্লট নেওয়া, পাহাড়কাটা বিরোধী অভিযানে গিয়ে প্রমাণ পাওয়ার পরও ব্যবস’া না নেওয়া, সেন্টমার্টিন দ্বীপে পরিবেশ অধিদপ্তরের রেস্ট হাউজ ‘মেরিন পার্ক’ ভাড়া দিয়ে ব্যক্তিগত তহবিলে লাখ লাখ টাকা আদায়, আইনগত ও আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও সেন্টমার্টিন দ্বীপে ইটসহ মালামাল পরিবহনে অনুমতি দেওয়া, পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের অর্ধেক আর্ট স্কুল পরিচালনা করা ইত্যাদি।
সূত্র জানায়, শরিফুল ইসলাম পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ে যোগদানের পর থেকে নানা অনিয়ম-দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতিতে জড়িয়ে পড়েন। এতে কক্সবাজারের পরিবেশ সংরক্ষণ তো দূরের কথা, উল্টো তার উৎসাহে কিংবা নীরবতায় হুমকির মুখে পড়েছে পর্যটন শহর কক্সবাজারের পরিবেশ-প্রতিবেশ। তাই ইয়ুথ এনভায়রনমেন্ট সোসাইটি (ইয়েস) কক্সবাজারের প্রধান নির্বাহী ইব্রাহিম খলিল মামুনের আবেদনের প্রেক্ষিতে সরদার শরিফুল ইসলাম অনিয়ম-দুর্নীতির তদন্ত শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।

পাঠকের মতামত

আসলে কি বয়কট করছি!

আমরা বাঙালি নতুন ইস্যু পেলে দৌড়ে তা দেখার জন্য উৎকণ্ঠা প্রকাশ করি। আজ বয়কট নিয়ে ...