প্রকাশিত: ১০/০৮/২০১৭ ৮:০১ এএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৩:২৬ পিএম

নিউজ ডেস্ক::

কক্সবাজার পৌরসভার বিতর্কিত কাউন্সিলর জাবেদ মো. কায়সার নোবেলের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন প্রশাসনিক কর্মকর্তা খোরশেদ আলম। তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় বাংলাদেশ পৌর কর্মকর্তা-কর্মকর্তা অ্যাসোসিয়েশন কক্সবাজার শাখা কঠোর আন্দোলনে যাচ্ছে। আজ বুধবার থেকে কক্সবাজার পৌরসভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালন করতে যাচ্ছে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

আজ মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে হঠাৎ করে প্রশাসনিক কর্মকর্তার কক্ষে গিয়ে উত্তেজিত হয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তা খোরশেদ আলমকে মারধর শুরু করেন কাউন্সিলর নোবেল। এ সময় পৌরসভায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় মামলা করা হবে বলে জানিয়েছেন, হামলার শিকার খোরশেদ আলম। বর্তমানে কাউন্সিলর নোবেল এর আতঙ্কে পৌরসভার কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়েছে। পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নোবেল আতঙ্কে অসহায় হয়ে পড়েছেন। খোদ মেয়রও ওই কাউন্সিলরকে দমিয়ে রাখতে পারছেন না।

জাবেদ মো. কায়সার নোবেলের হাতে একের পর এক মারধরের শিকার হচ্ছেন পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
গত এক বছরে অন্তত অর্ধডজন কর্মকর্তা-কর্মচারী এ কাউন্সিলরের হাতে প্রহৃত হন। তিন মাস আগে সচিব রাসেল চৌধুরীকে মারধর করেন নোবেল। ওই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলা হয়েছে। এর আগে সাবেক সচিব শামসুদ্দিনকেও একইভাবে মারধর করেন নোবেল। তার হাতে মারধরের শিকার হয় সাবেক অর্থ কর্মকর্তা ফারুক। তাকে প্রকাশ্যে অস্ত্র দিয়ে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে নোবেল। তথ্য সেবা কেন্দ্রের অপারেটর আনিসকে মারধর করা হয় এবং কম্পিউটার ভাঙচুর করা হয়। স্টোর কিপার কবিরসহ মারধরের শিকার হয় আরও বেশ কয়েকজন কর্মচারী। কিন্তু ভয়ে অনেকেই মুখ খোলার সাহস পান না।

এছাড়া এক মাস আগে সরকারি কাজে বাধা দান ও পাহাড় কাটার অভিযোগে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলা হয় এ কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে।

শুধু মারধর নয়, চাঁদাবাজিতেও বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন এ কাউন্সিলর। সম্প্রতি বঙ্কিম বড়ুয়া নামের এক ঠিকাদার নোবেলের দাবিকৃত ৫ লাখ টাকা চাঁদা দিতে না পারায় কাজ ফেলে পালিয়ে গেছেন। গত ২৩ জুলাই ঠিকাদার বঙ্কিম বড়ুয়া জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে লিখিতভাবে ঘটনা অবহিত করেছেন। বঙ্কিম বড়ুয়া জানান, কক্সবাজার শহরে ৫ কিলোমিটার এলাকায় পাইপ লাইন স্থাপনের কাজ পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কাজ করতে গিয়ে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন কাউন্সিলর নোবেল। চাঁদা দিতে না পারায় বিভিন্নভাবে হুমকি দেন। শুধু বঙ্কিম বড়ুয়া নয়, বিভিন্ন জনের কাছ থেকে বেপরোয়া চাঁদাবাজি করে বেড়ান এ কাউন্সিলর। কিন্তু ভয়ে কেউ মুখ খুলে না।

কাউন্সিলর নোবেলের এমন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণে পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভয় আর আতংকে রয়েছে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সুত্র: কালেকন্ঠ

পাঠকের মতামত

মোটরসাইকেল-অটোরিকশা মুখোমুখি সংঘর্ষ: প্রাণ গেলো শিক্ষার্থীর

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে মোটরসাইকেল-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে সিয়াম আহম্মেদ (২০) নামে এক কলেজ শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। এই ...