আগামী ১২ জুন অনুষ্ঠিত হচ্ছে কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচন। বহুল কাঙ্ক্ষিত ও প্রত্যাশিত এই নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দের পর ১২টি ওয়ার্ডে ব্যাপক প্রচারণা চলছে। ঘুম নেই প্রার্থীদের। পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন ইত্যাদি প্রচারপত্রে ছেয়ে গেছে পুরো শহর। সড়ক ও বিভিন্ন অলি গলিতে চলছে মাইকিং। কর্মী, সমর্থক ও ভোটারদের মাঝে সৃষ্টি হয়েছে উৎসাহ। উৎসবের নির্বাচনে পক্ষে-বিপক্ষে বক্তব্যে ছড়াচ্ছে উত্তাপও। কুৎসা রটনায় বিতর্কে জড়াচ্ছে কিছু নির্বাচনী কর্মী।
মেয়র পদে পাঁচজন প্রার্থী থাকলেও মূলত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে দুই জনের মধ্যে।
একজন আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থী মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী। অপরজন আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত স্বতন্ত্র প্রার্থী মাসেদুল হক রাশেদ। তিনি আওয়ামী লীগের আমৃত্যু সভাপতি ও বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর এ কে এম মোজাম্মেল হকের জ্যেষ্ঠ ছেলে। তার প্রতীক নারিকেল গাছ।
রাশেদের পক্ষে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন হক শণের চার নারী। সেখানে রয়েছেন মোজাম্মেল পরিবারের তিন পুত্রবধূ এবং একজন কন্যা।
তারা পাড়া মহল্লায় নিয়মিত উঠান বৈঠক ও নারী সমাবেশ করে চলেছেন। প্রার্থীর পক্ষে উপস্থাপন করছেন নানা যুক্তি। দিয়ে যাচ্ছেন উন্নয়নের প্রতিশ্রুতিও।
নাগরিক কমিটির মেয়র প্রার্থী মাসেদুল হক রাশেদের সহধর্মিণী মিসেস জোসনা হক, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহিনুল হক মার্শালের সহধর্মিণী আমেনা হক রুবি, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কায়ছারুল হক জুয়েলের সহধর্মিণী ইফতি হক এবং মরহুম একেএম মোজাম্মেল হকের একমাত্র কন্যা তাহামিনা নুসরাত জাহান হক লুনা।
এই চার নারী ইতোমধ্যে পৌরবাসীর আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। তারা কী বক্তব্য দিচ্ছেন তা শোনার অপেক্ষায় থাকে অনেকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের বক্তব্য বেশ আলোচিত। বিশেষ করে নৌকার প্রার্থীর বিপক্ষে বক্তব্যগুলো ভাইরাল হচ্ছে নেট দুনিয়ায়।
তবে, হক পরিবারের এই চার নারীর কারণেই স্বতন্ত্র প্রার্থী মাসেদুল হক রাশেদের ভোট ব্যাংক দিনদিন শক্তিশালী হচ্ছে বলে সর্বসাধারণের ধারণা।