কক্সবাজার শহরতলীর দরিয়ানগর বড়ছড়ায় নির্মাণাধীন ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয় সড়ক পরিদর্শনকালে উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতমবুদ্ধ দাশ বলেছেন- সমুদ্র উপকূলীয় জীববৈচিত্র নিয়ে পড়াশোনা ও উচ্চতর গবেষণা ছাড়াও কক্সবাজার ক্যাম্পাসে পর্যটকদের জন্য একটি বন্য প্রাণী জাদুঘর গড়ে তোলা হবে। সীমিত পরিসরের এই জাদুঘরে কক্সবাজার বনাঞ্চলের বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীকূলকে ঠাঁই দেয়া হবে। গবেষণাগারের নিবীড় ব্যবস্থাপনায় এগুলোর বংশবৃদ্ধি করে আবারো বনাঞ্চলে ছেড়ে দেয়া হবে।
শুক্রবার দুপুরে কক্সবাজার শহরতলীর দরিয়ানগরে ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয় সড়কের নির্মাণ কাজ পরিদর্শনকালে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ এই পরিকল্পনার কথা জানান। তিনি বলেন- ইতোমধ্যে কক্সবাজার ক্যাম্পাসে কাঁকড়ার গবেষণাগার স্থাপন করা হয়েছে। স্নাতকের শিক্ষার্থীরা কোর্সের অংশ হিসাবে কক্সবাজার ক্যাম্পাসে পড়ালেখা করছে।
তিনি জানান- এই ক্যাম্পাসে বন্যপ্রাণীর একটি গবেষণাগার স্থাপনেরও প্রক্রিয়া চলছে।
দুপুর ১২টায় উপাচার্য প্রফেসর ড. গৌতমবুদ্ধ দাশ নির্মাণাধীন সড়ক পরিদর্শনকালে নির্মাণ কাজে ব্যবহারের জন্য আনা পাথরের মান নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশলী হৃদয় বলেন- ঠিকাদার কার্যাদেশ নেয়ার সময় যে ধরনের পাথরের স্যাম্পল দিয়েছিল, সে ধরনের পাথর নির্মাণ কাজের জন্য না এনে তারা শর্ত ভঙ্গ করেছে। উপাচার্য মানসম্মত পাথর ব্যবহারের জন্য ঠিকাদারকে নির্দেশ দিয়েছেন।
নির্মাণ কাজ পরিদর্শনকালে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. নুরুল আবছার খান, প্যাথলজি ও প্যারা সাইটোলজি বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন ও ড. এএমএএম জুনায়েদ ছিদ্দিকী,সুপার গ্রুপের ব্রান্ড ম্যানেজার শিল্পী নুর-ই-আকবর চৌধুরী , গবেষক-সাংবাদিক আহমদ গিয়াস, বড়ছড়া আশ্রায়ণ ভূমিহীন সমবায় সমিতির সভাপতি মাহবুব আলম, স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা কাজী আবদুল খালেক, বড়ছড়া যুব সমাজের সভাপতি নুরুল আবছার, সাংগঠনিক সম্পাদক পারভেজ মোশাররফসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
উপাচার্য জানান, স্থানীয় গ্রামবাসী ও চেয়ারম্যানের অনুরোধে এই সড়কটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক সহযোগিতায় নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে প্রায় ৩৫ লাখ টাকা ব্যয় হবে। প্রথম ধাপে নির্মাণাধীন এ রাস্তার দৈর্ঘ হবে ৮৩০ ফুট এবং প্রস্থে হবে প্রায় ১৩ ফুট। পাশে থাকবে পাকা ড্রেন। এ রাস্তার কিছু অংশ হবে আরসিসি ঢালাই আর কিছু অংশ এইচবিবি। পরবর্তীতে এই সড়কটি গুণগত মানে আরো উন্নত করা হবে।