চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়ার একাধিক স্থানে পৃথক তিনটি দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। এতে যাত্রীবাহী একাধিক বাসসহ পাঁচটি যানবাহন দুমড়ে–মুচড়ে গেছে। হাইওয়ে পুলিশ জানায়, অজ্ঞাত বাসের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারিয়েছেন ইজিবাইক (টমটম) চালক। এছাড়াও গুরুতর আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন যাত্রী, যানবাহন চালক ও চালকের সহকারী। আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত চকরিয়ার ফাঁসিয়াখালীর হাসেরদিঘী, বরইতলীর বানিয়ারছড়া ও ডুলাহাজারার পাগলির বিল নামক স্থানে এসব দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়।
ডুলাহাজারাস্থ মালুমঘাট হাইওয়ে থানা পুলিশের ইনচার্জ (ওসি) মেহেদী হাসান জানান, গতকাল সোমবার সকাল সাতটার দিকে ফাঁসিয়াখালীর হাসেরদিঘী এলাকায় কক্সবাজারমুখী অজ্ঞাত বাসের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারিয়েছেন ইজিবাইক (টমটম) চালক মো. আজাদ মিয়া (১৮)। তিনি কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার পূর্ব নাপিতখালীর বাবুল মিয়ার ছেলে। এ সময় ইজিবাইকের একাধিক যাত্রী আহত হন। তারা বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। নিহতের লাশ উদ্ধারের পর আইনি প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ধাক্কা দেওয়া অজ্ঞাত বাসটি জব্দের জন্য চেষ্টা চলছে। মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশ আরও জানায়, দুপুরের দিকে ডুলাহাজারা ইউনিয়নের পাগলির বিল নামক স্থানে যাত্রীবাহী মারছা বাস ও মিনি পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে কয়েকজন যাত্রী আহত হয়। এ সময় গাড়ি দুটির সম্মুখভাগ দুমড়ে–মুচড়ে যায়। খবর পেয়ে গাড়ি দুটি সরিয়ে মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়।
অপরদিকে মহাসড়কের বরইতলীর বানিয়ারছড়া এলাকায় ট্রাক ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে মাইক্রোটি দুমড়ে–মুচড়ে যায়। এতে গাড়িটির কয়েকজন যাত্রী আহত হয়েছেন। তারা প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মহাসড়কের বানিয়ারছড়াস্থ চিরিঙ্গা হাইওয়ে থানা পুলিশের ইনচার্জ (ওসি) মো. আরিফুল আমিন। তিনি জানান, দুর্ঘটনায় পতিত গাড়ি দুটি মহাসড়ক থেকে সরিয়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়।
পাঠকের মতামত