কক্সবাজারে যেতে চান মেহজাবীন চৌধুরী। তবে মেয়ে বলে নেই পরিবারের সম্মতি। পরিবার থেকে জানায় বিয়ের পর স্বামীকে নিয়ে কক্সবাজার যেতে। সঙ্গে সঙ্গেই মেহজাবীন বলেন, তাহলে আমাকে বিয়ে দিয়ে দাও। বিয়ের পর স্বামী আফরান নিশোকে তার সমুদ্র দেখার বাসনার কথা প্রকাশ করেন। ইচ্ছা থাকলেও বাধা হয়ে দাঁড়ায় তাদের অর্থনৈতিক সমস্যা। টাকা জমানোর পরিকল্পনা করলেও আসতে থাকে একের পর এক বাধা।
এসব কোনো কিছুই বাস্তব ঘটনা নয়। নির্মাতা শিহাব শাহীন নির্মাণ করেছেন ওয়েব ফিল্ম ‘নীল জলের কাব্য’। এতেই এমন একটি গল্পে দেখা যাবে নিশো-মেহজাবীনকে। এক নারীর সমুদ্র দেখার গল্প নিয়ে নির্মিত এই ওয়েব ফিল্মটি আগামীকাল বিকেল ৩টায় দেশের ওটিটি প্ল্যাটফর্ম আই স্ক্রিনে মুক্তি পাবে।
আজ বুধবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মুক্তির ক্ষণ নির্ধারণ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইমপ্রেস টেলিফিল্মের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর, নির্মাতা শিহাব শাহীন, ‘নীল জলের কাব্য’র দুই প্রধান অভিনয়শিল্পী নিশো ও মেহজাবীন এবং আইস্ক্রিনের প্রকল্প পরিচালক ও চিত্রনায়ক রিয়াজ।
সংবাদ সম্মেলনে মেহজাবীন বলেন, ২০২১ সালে নতুন ধরনের একটি গল্প খুঁজছিলাম। তখন জাহান সুলতানার কাছে ‘নীল জলের কাব্য’র মতো একটা গল্প পাই শিহাব ভাইয়ের মাধ্যমে। গল্পটি পড়েই তখন খুব রিফ্রেশিং লাগছিল। বহুবার শুটিং শুরু করে বন্ধ করতে হয়েছে নানা কারণে। গত আগস্টে কাজটি শেষ হয়েছে। অবশেষে আইস্ক্রিন দর্শকের সামনে নিয়ে আসছে আমাদের খুব আকাঙ্ক্ষিত একটি কাজ।
আফরান নিশো বলেন, ‘নীল জলের কাব্য’ গল্পটি আমার অন্তরের খুব কাছের। আমার কাছে মনে হয়, এই কাজটি শেষ করতে প্রত্যেকেই লেগে ছিল। সময় গেলেও শেষ পর্যন্ত কাজটি দর্শকের সামনে আসছে, এটাই বড় কথা।
ওয়েব ফিল্মটির নির্মাতা শিহাব শাহীন বলেন, করোনার কারণে তিনবার ‘নীল জলের কাব্য’র শুটিং বন্ধ করতে হয়।শেষ পর্যন্ত শুটিং শেষ করে যে দর্শকের সামনে উপস্থিত করতে পারছি, এজন্য মেহজাবীনকে কৃতিত্ব দেব। কারণ এই প্রজেক্ট যেন হয়, তার পেছনে যদি একজন শেষ পর্যন্ত লেগে থাকে- তাহলে সে মেহজাবীন। আমরা ভাগ্যবান যে আমাদের দীর্ঘদিনের প্রজেক্টটি মুক্তি পেতে যাচ্ছে। সুত্র: কালবেলা