সংকটাপন্ন রোগীদের নিবিড় চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চালু হচ্ছে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) বা নিবিড় পর্যক্ষেণ কেন্দ্র। সীমিত লোকবল নিয়ে জেলার এই শীর্ষ হাসপাতালে গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটটি চালু হতে যাচ্ছে আজ (মঙ্গলবার)। এরই মধ্যে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে বেলা সাড়ে ১০টার দিকে টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এ আইসিইউ ইউনিটের কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন। জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও সিভিল সার্জন ডা. পঁ চ নু সোমবার সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ডা. পঁ চ নু জানান, সরঞ্জাম থাকলেও জনবলের অভাবে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল আইসিইউ স্থাপনের কার্যক্রম। একটি আইসিইউ স্থাপনের জন্য অন্তত ৪০ জনের জনবল দরকার। কিন্তু এত জনবল একসঙ্গে অনুমোদন দেয়া মন্ত্রণালয়ের পক্ষে সম্ভব নয়। তারপরও সম্প্রতি উচ্চমহলের জোর প্রচেষ্টার কারণে প্রাথমিকভাবে ৬ বেডের একটি আইসিইউ চালু করার জন্য মন্ত্রণালয় থেকে ৮ জনের জনবল অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে ৪ জন ডাক্তার ও ৪ জন নার্স।
তিনি জানান, আইসিইউ বিভাগে নিয়োগকৃতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। নিয়োগপ্রাপ্তদের দু’ধাপে প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া ইউএনএইচসিআর এর পক্ষ থেকেও ২ জন নার্স দেয়ার আশ্বাস দিয়েছে। সবকিছু গুছিয়ে নিয়ে আজ আইসিইউ’র কার্যক্রম চালু হচ্ছে।
ডা. পঁ চ নু আরো জানান, প্রাথমিকভাবে ৬ বেডের একটি আইসিইউ স্থাপনের জন্য মন্ত্রণালয়ে চাহিদা পাঠানো হয়। ওই চাহিদার অনুকূলে মন্ত্রণালয় থেকে পর্যায়ক্রমে প্রায় দেড় কোটি টাকার অত্যাধুনিক সরঞ্জাম বরাদ্দ দেয়া হয়। অবকাঠামো নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয় আরো প্রায় দেড় কোটি টাকা।
আইসিইউ স্থাপন এ অঞ্চলের মানুষের প্রাণের দাবি উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, সদর হাসপাতালে আইসিইউ না থাকায় বছরে অনেক সংকটাপন্ন রোগী চট্টগ্রামে যাওয়ার পথে মারা যান। আইসিইউ স্থাপন হলে চিকিৎসা ক্ষেত্রে কক্সবাজারে নতুন মাত্রা যোগ হবে। এছাড়া কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তরিত হলে সিসিইউ’র কার্যক্রমও চালু করার উদ্যোগ নেয়া হবে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮ সালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) ও ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) স্থাপনের নির্দেশ দেয়া হয়। সিসিইউ স্থাপনের জন্য ভবন প্রস্তুত থাকলেও মেডিকেল কলেজের অস্থায়ী ক্যাম্পাস থাকায় এবং অন্যান্য আনুষাঙ্গিক কারণে এই ইউনিটটি চালু করা যায়নি।
এদিকে আজকের এ উদ্বোধন উপলক্ষে রোববার ও সোমবার পৃথক সময়ে হাসপাতালটির সংশ্লিষ্ট স্থান পরিদর্শন করেছেন জেলা স্বাস্থ্য উন্নয়ন কমিটির সভাপতি সদর আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল। এসময় সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
পাঠকের মতামত